সিলেটে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছেই একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৯:০৭:২৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত ২৪ ঘন্টায় সিলেট বিভাগে আরো ১০ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছেন। এটি চলতি মৌসুমে একদিনে আক্রান্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর একদিনে সর্বোচ্চ ৯জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছিলেন।এদিকে চলতি মৌসুমে জানুয়ারী থেকে রোববার (১৯ অক্টোবর) পর্যন্ত ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪৯ জনে। এরমধ্যে অক্টোবরের ১৯ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ জন।
রোববার (১৯ অক্টোবর) দৈনিক জালালাবাদকে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৮ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ২ জন, জালালাবাদ রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন, নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন, সিলেট পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন, সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ১ জন, হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ৪ জন ও লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি আছেন।
এদিকে চলতি মওসুমে এবং অক্টোবর মাসেও সিলেট বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তে শীর্ষে রয়েছে হবিগঞ্জ জেলা। চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৪৯ জনের ১৪২ জনই হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। জেলাটিকে বিভাগের ডেঙ্গু হটস্পট হিসেবে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে ১০ মাসে বিভাগে ডেঙ্গুতে কারো মৃত্যু না হলেও ২৪৯ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে চলতি অক্টোবর মাসের ১৯ দিনে শনাক্ত হয়েছেন ৬৬ জন। গত সেপ্টেম্বর মাসে শনাক্ত হয়েছিলেন ৭৩ জন।
এর আগে গত আগস্ট মাসে শনাক্ত হয়েছেন ৪৮ জন। এছাড়া গত জুলাই মাসে শনাক্ত হয়েছেন ২৯ জন। জুন মাসে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ জন। মে মাসে শনাক্ত হন ১২ জন। এপ্রিল ও ফেব্রæয়ারী মাসে কোন রোগী শনাক্ত না হলেও জানুয়ারী মাসে ৬ ও মার্চ মাসে ১ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হন।
চলতি মৌসুমে বিভাগে ২৪৯ ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে সিলেট জেলার ৪৭ জন, সুনামগঞ্জে ৩৭ জন, মৌলভীবাজারে ২৩ জন এবং হবিগঞ্জে ১৪২ জন শনাক্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, সিলেটে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়লেও উদ্বেগের কিছু নেই। কারণ সিলেটে স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু আক্রান্তের কোন তথ্য মিলেনি। যারাই আক্রান্ত হয়েছেন সকলেরই ট্রাভেল হিস্ট্রি রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকার পাশর্^বর্তী হওয়ায় হবিগঞ্জ জেলায় ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশী। তাই স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জেলাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই।





