আ’লীগের নির্বাচনের সুযোগ নেই : সিলেট ইসি আনোয়ারুল
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৯:১১:০৩ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, আইনগতভাবে এখন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। কার্যক্রম স্থগিত থাকলে তো সব স্থগিত। সুতরাং দলটির আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ নেই। তিনি রোববার সকালে সিলেট মহানগর পুলিশ লাইনসের সম্মেলন কক্ষে ‘নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন ফেব্রæয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো ঘটনা এখনো ঘটেনি। অনেক কিছুই গণমাধ্যমে আসছে, আশা রাখি এগুলোতে আমাদের নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না। ফেব্রæয়ারী মাসে, রমজান মাসের আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এনসিপির প্রতীক প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রতীক বরাদ্দ বিধিমালা অনুযায়ী, যে প্রতীকগুলো থাকে, সেগুলো থেকে একটা প্রতীক বরাদ্দ দিতে হয়। সেদিক থেকে যেহেতু নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশন আইনগতভাবে কাজ করে। আইনের বাইরে কোনো কাজ নির্বাচন কমিশন করতে পারে না। সুতরাং আইন ও বিধি অনুযায়ী আমাদের তালিকায় যে মার্কাগুলো আছে, সেগুলোর মধ্যে যে প্রতীকটা চাচ্ছেন, সে প্রতীকটা না থাকার কারণে কমিশন দিতে পারছে না।
নির্বাচন আয়োজনে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি না, এমন প্রশ্নে ইসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে যারা আছেন, সবার কাছ থেকে এত বেশি সহযোগিতার আশ্বাস পাচ্ছি যে আমরা কোনো চ্যালেঞ্জ মনে করছি না।
নির্বাচন পদ্ধতি (পিআর) ও গণভোট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় জানিয়ে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি।প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী, সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।নির্বাচনে বিগত দিনে যাঁরা দায়িত্ব পালন করে বিতর্কিত হয়েছেন, এবার তাঁরা নির্বাচনের কার্যক্রমে অংশ নেবেন কি না জানতে চাইলে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিতর্কিত কোনো লোক নির্বাচনের দায়িত্বে আসতে পারবেন না। আমরা অনেক আইনকে খুব কঠোর আইনে পরিণত করতে যাচ্ছি। সে আইন অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিল থেকে শুরু করে এক আসনের ভোট, সেন্টার বাতিল থেকে শুরু করে মাঠ প্রশাসনকে আমরা সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেব। যাতে করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা নিরাপদে থেকে তাঁদের দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার বলেন, পরবর্তী প্রজন্মকে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশে বসবাস করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন কারও পক্ষপাতিত্ব বরদাশত করবে না, কারও পক্ষে কথা বলবে না। আমরা চাই পুলিশের যে দায়িত্ব, ম্যাজিস্ট্রেটের যে দায়িত্ব, প্রিসাইডিং অফিসারের যে দায়িত্ব, সেনাবাহিনীর যে দায়িত্ব, বিভাগীয় কর্মকর্তাদের যে দায়িত্ব, তা তাঁরা পালন করবেন। যাঁর যাঁর দায়িত্ব আইন অনুযায়ী পালন করবেন। নির্বাচন কমিশনের সুস্পষ্ট মেসেজ হচ্ছে—নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ, কমিশন কোনো অন্যায়ের প্রতি মাথা নত করবে না।
এদিকে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার রোববার দুপুরে সিলেটের সার্কিট হাউজে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সিলেট বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটে আগ্রহী করতে বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়েছে কমিশন। পোস্টাল ব্যালটে ভোটারদের নভেম্বর থেকে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে। শুধু প্রবাসীরাই নয়, কারাবন্দি ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন। এমনটাই জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনেয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে বাস্তবায়নের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাঠ প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করবে।





