বড়লেখায় আদিবাসি নেতার বিরুদ্ধে গরু দেওয়ার নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৮:৪০:৪৫ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি : বড়লেখায় ইন্ডিজিনাস পিপল ডেভলপমেন্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক স্বঘোষিত আদিবাসী নেতা প্রসেনজিৎ শর্মার বিরুদ্ধে সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের বকনা গরু বিতরণ প্রকল্পে নাম অর্ন্তভুক্ত করে বকনা গরু প্রদানের নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক বছর আগে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর দরিদ্র লোকদের কাছ থেকে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেও ভুক্তভোগিরা পায়নি কোনো গরু, ফেরৎ দেয়নি প্রতারণায় হাতিয়ে নেওয়া টাকাও।
বড়লেখায় ২০২১ সাল থেকে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের নিউ সমনবাগ চা বাগানের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের চা শ্রমিক সবিতা কুর্মী, বাবলু কুর্মী, উজ্জল উরাং, সজল উরাং প্রমুখ অভিযোগ করেন ২০২৪ সালের দুর্গাপূজার আগে ইন্ডিজিনাস পিপল ডেভলপমেন্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আদিবাসি নেতা প্রসেনজিৎ শর্মা বকনা গরু বিতরণের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির বিভিন্ন খরচের কথা বলে তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে আদায় করেন। পরবর্তীতে উপজেলায় বকনা গরু বিতরণ করা হলেও তারা গরু পায়নি। এছাড়া ভুক্তভোগি সুমন গড়াইত, রূপালি মুন্ডা, বিপ্লব মুন্ডা, অবিলাস গঞ্জু, সঞ্জিত গঞ্জু প্রমুখ অভিযোগ করেন একই কায়দায় প্রসেনজিৎ শর্মা সরকারি গরু পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ ৪ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও তাদেরকে গরু দেওয়া হয়নি। টাকা ফেরৎ চাইলে নানা টালবাহানা ও ভয়ভীতি দেখান। অভিযোগ রয়েছে, আদিবাসি নেতা প্রসেনজিৎ শর্মা আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও অফিস ও প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে সু-সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজনের কাছ টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বড়লেখা ইন্ডিজিনাস পিপল ডেভলপমেন্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও আদিবাসি নেতা প্রসেনজিৎ শর্মা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বকনা গরু প্রদানের নামে লোকজনের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে স্বীকার করে বলেন, খুব দ্রæত তা মিটমাট করে নিবেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিবাস চন্দ্র পাল জানান, বকনা গরু বিতরণ প্রকল্পের উপকারভোগিদের তালিকা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। কোনো আদিবাসি নেতাকে তালিকা দিতে বলা হয়নি। সরকারি বিনামূল্যের বকনা গরু দেওয়ার নামে কোনো আদিবাসি নেতা অফিসের নাম ভাঙিয়ে কারো কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, এমন অভিযোগ পাননি।







