বালাগঞ্জে এসিল্যান্ড না থাকায় ভোগান্তিতে সেবা গ্রহীতারা
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় চার মাসেরও বেশি সময় ধরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসিল্যান্ডের পদটি শূন্য রয়েছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে ভূমি-সংক্রান্ত কার্যক্রম, ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবাগ্রহীতারা।
দীর্ঘদিন ধরে পদটি শূন্য থাকায় জমি কেনাবেচা, নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি বাজার মনিটরিং, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং অন্যান্য মাঠ প্রশাসনিক কাজেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৩ জুন বালাগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) বদলি হয়ে সিলেট সদর উপজেলায় যোগদান করেন। এরপর থেকে পদটি শূন্য রয়েছে। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজিত কুমার চন্দ অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ভূমি অফিসের কার্যক্রম সামলাচ্ছেন।
তবে একাধিক দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে নিয়মিতভাবে ভূমি অফিসে উপস্থিত থাকা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। মাঝে মাঝে রাত পর্যন্ত অফিস করতে দেখা গেলেও উপজেলার ছয় ইউনিয়নের জনগণ নিয়মিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
ভুক্তভোগী মাওলানা মোজাম্মিল আলী বলেন, প্রায় দুই মাস আগে নামজারির আবেদন করেছিলাম, এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি। কেউ বলতে পারছে না কবে নাগাদ এটি সম্পন্ন হবে।
দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তুফায়েল সুহেল জানান, এসিল্যান্ড না থাকায় জমি কেনাবেচা কমে গেছে। নামজারি, বাটোয়ারা ও খাজনা পরিশোধ ছাড়া জমি হস্তান্তর করা যায় না। তাই এসব কাজ বন্ধ হয়ে আছে।
বালাগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট চারটি সহকারী ভূমি অফিস রয়েছে- যার মধ্যে দুটি বালাগঞ্জে এবং দুটি আংশিকভাবে ওসমানীনগর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত। এগুলো এসিল্যান্ডের তত্ত¡াবধানে পরিচালিত হয়। কিন্তু পদটি শূন্য থাকায় সব জায়গায়ই ভূমি সংক্রান্ত সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৪০-৫০ জন সেবাপ্রার্থী অফিসে আসেন, কিন্তু এসিল্যান্ডের অনুপস্থিতিতে অধিকাংশ কাজই সম্পন্ন করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিত কুমার চন্দ বলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে কর্মকর্তার পদায়নের বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই পদায়ন সম্পন্ন হবে এবং সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।





