দীপাবলির আতশবাজিতে ভারতে ভয়াবহ বায়ু দূষণ
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৮:০৩:৩৯ অপরাহ্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের আদেশ না মেনে আতশবাজি পোড়ানোয় বায়ু দূষণের কবলে দিল্লিবাসী। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল নাগাদ দিল্লীর বিভিন্ন স্থানের গড় বায়ুমান ৩০০ ছাড়িয়েছে। শহরবাসীকে স্বস্তি দিতে মেঘ বীজের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের কথা ভাবছে রেখা গুপ্তার সরকার। শুধু দিল্লী নয়, বিষাক্ত বাতাসে আচ্ছন্ন পাকিস্তানের লাহোরও। এরই মধ্যে বাতাসের মান কমে যাওয়ায় ভারতের দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোকে দায়ী করেছে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ।
দীপাবলি উদযাপনে মেতেছে দিল্লিবাসী। আর আলোর এই উৎসব উদযাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ আতশবাজি। তবে চলতি বছর পরিবেশগত দিক বিবেচনা করে দিল্লির নাগরিকদের দীপাবলির দিন ও তার আগে আতশবাজি পোড়ানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়া, নির্দেশ দেয় সবুজ আতশবাজি পোড়ানোর। তবে নির্দেশনা না মানায়, উৎসবের পরের দিন খেসারত দিচ্ছে দিল্লিবাসী।
সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড সিপিসিবি জানায়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ১১ টা নাগাদ দিল্লীর গড় বায়ুমান বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৩৫৯। সাধারণত একিউআইয়ের মান ৩০০ পেরোলে সেটিকে খুব খারাপ বলে ধরা হয়।
ইন্ডিয়া গেট, অক্ষরধাম মন্দিরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো ছেঁয়ে যায় বিষাক্ত ধোঁয়ায়। ড্রোন ফুটেজে দেখা যায়, দিল্লির বেশিরভাগ স্থানই ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কর্মজীবী মানুষ।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘মনে হচ্ছে দূষিত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছি। বছরের এই সময়ে আমাদের উচিত ঘরে থাকা উচিত। এটাই নিরাপদ।’
অন্য একজন বলেন, ‘বেশিরভাগ মানুষই আতশবাজি পুড়িয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। যদিও উৎসবটির মূল উদ্দেশ্য মিষ্টি বিনিময় ও প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করা।’
এদিকে বায়ুর মান খারাপ হওয়ায় দিল্লিবাসীকে স্বস্তি দিতে মেঘ বীজের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত পরিচালনার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। মেঘ বৃষ্টি হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে একটি নির্দিষ্ট উপায়ে মেঘের মধ্যে ক্ষুদ্র বরফের নিউক্লিয়াস প্রবেশ করানোর মাধ্যমে মেঘের কৌশলগত পরিবর্তন আনা হয়। যার মাধ্যমে মেঘের বৃষ্টি ও তুষার উৎপাদনের সক্ষমতা জন্মে।
এনডিটিভি জানায়, আবহাওয়া বিভাগের থেকে সবুজ সংকেত পেলে আগামী ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে পরীক্ষামূলক কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের কথা ভাবছে রেখা গুপ্তা সরকার।
শুধু ভারত নয়, বাতাসের মানের অবনতি ঘটেছে পাকিস্তানেও। দেশটির গণমাধ্যম ডন জানায়, এর জন্য ভারতের আতশবাজি পুড়ানোকে দায়ী করেছে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকাল নাগাদ , লাহোরের বায়ুর গড় মান দাঁড়ায় ২৬৬ তে। বিষাক্ত বাতাস মোকাবেলায়, পাঞ্জাব সরকার পানি ছিটানো ও অ্যান্টি স্মোক গান ব্যবহার করছে। পাশাপাশি বায়ু দূষণকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কমিটিও গঠন করা হয়েছে।







