বাংলাদেশের হাফিজগণ বিজয়ী হয়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন : জেলা প্রশাসক
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৮:৫০:৫৭ অপরাহ্ন

সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশের কুরআনের পাখি হাফিজগণ তেলাওয়াতের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হয়ে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। কোমলমতি শিশু হাফিজদের তেলাওয়াত শুনলে মনে প্রশান্তি আসে। তাদেরকে বেশি বেশি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করলে মেধা বিকাশের মাধ্যমে তারা আরো এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, সারা দুনিয়ার সমুদ্রের পানি যদি কলমের কালি হয়, তাহলেও লিখে শেষ করা যাবে না কুরআনের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ। মহাগ্রন্থ আল কুরআন আল্লাহ তায়ালা মানুষের কাছে প্রেরণ করেছেন। তাই কুরআন পড়ে জীবনকে আলোকিত করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি নতুন প্রজন্মকে কুরআনকে বুকে ধারণ করে, কুরআনের আদর্শ পালনের মাধ্যমে সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বাংলাদেশস্থ সৌদি দুতাবাসের হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান।জেলা প্রশাসক বুধবার দুপুরে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স হলে রিলিজিয়াস এ্যাটাশে অফিস রাজকীয় সউদী দূতাবাস বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার সিলেট বিভাগের বাছাই পর্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
রাজকীয় সউদী দূতাবাস বাংলাদেশের সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি শাইখ সাঈদ বিন নুরুজ্জামান মাদানী ও বদর বিন ইসহাক আল মাদানী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস উন নূর, শাহজালাল দরগা মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা আসজাদ আহমদ, কুদরত উল্লাহ হাফিজিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল হাফিজ মাওলানা মিফতাহ উদ্দিন।
সাইফ মু. সাইফুল্লাহ ও রাশিদ আহমদ এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শাইখ মামুনুর রশীদ আল মাদানী, হাফিজ মইনুল ইসলামসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, দায়িত্বশীলগণ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
রিলিজিয়াস এ্যাটাশে অফিস রাজকীয় সউদী দূতাবাস বাংলাদেশ আয়োজিত প্রতিযোগিতায় সিলেট বিভাগের বাছাই পর্বে ৩২ জন হাফিজ অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে নির্বাচিত ১৪ জন হাফিজ জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করবে। সিলেট বিভাগসহ সারাদেশের বিভাগের হাফিজগণ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিজয়ীরা পুরস্কার হিসেবে উমরা সহ নগদ অর্থ পাবেন। বিজ্ঞপ্তি







