পাঠানটুলার মিনিস্টার বাড়ি ভাঙ্গার কাজ বন্ধের নির্দেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮:৪২:২৮ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট নগরীর পাঠানটুলাস্থ ঐতিহ্যবাহী ‘মিনিস্টার বাড়ি’ ভাঙ্গার কাজ আগামী রোববার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে মিনিস্টার বাড়ি পরিদর্শন শেষে অধিদপ্তরের গবেষণা সহকারী মো. ওমর ফারুক এ নির্দেশনা প্রদান করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থপতি রাজন দাস, লেখক-সাংবাদিক উজ্জ্বল মেহেদী, পরিবেশকর্মী আশরাফুল কবীর হোসেন।
জানা গেছে, সিলেটের প্রাচীন অনেক স্থাপনার মতোই সাম্প্রতি হাতুড়ি শাবলের আঘাতে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিলো মিনিস্টার বাড়িটি। ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যাওয়ায় মালিকপক্ষ ১৮ লাখ টাকায় ভাঙ্গারির কাছে ঐতিহাসিক বাড়িটি বিক্রি করেন। ভাঙ্গারির নির্দেশেই বাড়িটি ভাঙ্গছেন বলে জানিয়েছেন ভাঙ্গা কাজে নিয়োজিতরা।
তবে নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর দৃষ্টিনন্দন ও প্রাচীন এই বাড়িটি ভাঙার কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে। মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তর। শুক্রবার সরেজমিনে পরিদর্শন করে বাড়ি ভাঙ্গার কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয় তারা।
জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহী এ বাড়িটির নাম মিনিস্টার বাড়ি হওয়ার কারণ অবিভক্ত ভারতবর্ষের আসাম প্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী আব্দুল হামিদ। পরবর্তী সময়ে দেশ ভাগের পর তিনি তৎকালীন পাকিস্তান সরকারে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।
আব্দুল হামিদের বোন হাফিজা বানু ছিলেন আইনজীবী আবু আহমদ আব্দুল হাফিজের মা এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবুল মোমেনের দাদী। এই বাড়িটির সঙ্গে মিশে আছে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর স্মৃতি। তিনি এক সময় এখানে বিশ্রাম নিয়েছিলেন বলেও জানা যায়। মিনিস্টার আব্দুল হামিদের চাচা মৌলভী আব্দুল করিমও ছিলেন একজন বরেণ্য শিক্ষাবিদ, লেখক ও জাতীয়তাবাদী কর্মী। যার বদান্যতার জন্য তাকে সিলেটের মহসীন নামে অভিহিত করা হত।
বাড়িটির মালিকপক্ষের লোক আব্দুল হামিদের নাতি আনিসুল ইসলাম বলেন, বাড়িটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। তাছাড়া এই বাড়ির পেছনে আমাদের আরও বাড়িঘর রয়েছে। তাই এই পুরনো বাড়িটি ভেঙে ফেলতে হচ্ছে। এটি ভাঙতে আমাদেরও কষ্ট হচ্ছে। তবে নিরূপায় হয়ে ভাঙতে হচ্ছে।







