চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের নতুন গন্তব্য বাংলাদেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯:১৭:৩৭ অপরাহ্ন

জালালাবাদ ডেস্ক : চীনের তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত বর্ধিত শুল্ক ও উৎপাদন খরচের চাপ বাড়তে থাকায় নতুন করে গতি পেয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির বিনিয়োগ সম্পর্ক। দেশে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিভিন্ন খাতে চীনের বিনিয়োগ বাড়লেও অ্যাপারেল খাতে তাদের মনোযোগ বাড়ছে।
খাত সশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হচ্ছেন। বাংলাদেশে তুলনামূলক কম উৎপাদন ব্যয়, পর্যাপ্ত শ্রমশক্তি, এবং ইউরোপীয় বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার—এসব সুবিধা বাংলাদেশকে তাদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সবমিলিয়ে গড়ে ৩৬ শতাংশ শুল্ক দিলেও চীনের পণ্যের ক্ষেত্রে তা প্রায় ৫০ শতাংশ, এই হার আরো বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে গত এক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রপ্তানি ক্রমাগত কমছে, আর ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশসহ আরো কিছু দেশের বাড়ছে, যা চীনের অ্যাপারেল উদ্যোক্তাদের এ খাতের বিনিয়োগ স্থানান্তর করতে উদ্বুদ্ধ করছে।
চীনা উদ্যোক্তারা এখন বাংলাদেশে নতুন কারখানা গড়ে তোলার পাশাপাশি – বন্ধ বা ধুঁকে ধুঁকে চলা কারখানা ভাড়া বা কিনে নিয়ে উৎপাদন শুরু করছেন, যা তাদের নির্মাণ ব্যয় কমিয়ে দিচ্ছে। দ্রæত উৎপাদনে যাওয়াও তার ফলে সম্ভব হচ্ছে। স¤প্রতি একাধিক চীনা ব্র্যান্ড ও বায়িং হাউজ ঢাকায় লিয়াজোঁ অফিস স্থাপন করেছে।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান বলেন, গত এক বছরে ২০টিরও বেশি তৈরি পোশাক কারখানায় চীনের বিনিয়োগ এসেছে, এর মধ্যে নতুন উদ্যোগ যেমন আছে, তেমনি ভাড়ায় চালানো কারখানাও রয়েছে। আরও কয়েকটি কোম্পানি আলোচনায় আছে এবং বিনিয়োগ অনুসন্ধান জমা দিয়েছে। তিনি বলেন, নতুন করে বেশকিছু চীনা কোম্পানি বিনিয়োগের বিষয়ে কথা বলছে, বিনিয়োগ-সংক্রান্ত বিভিন্ন ইনকোয়ারি নিয়ে আসছে, যার মধ্যে একটি অংশ ভাড়ায় চালানোর জন্য।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছে ৫৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ, যার মধ্যে টেক্সটাইল খাতেই ছিল ৩০.৩৮ মিলিয়ন ডলার।





