শ্রীমঙ্গল থেকে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার, খালাসহ গ্রেফতার ২
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৬:২৫:৪৩ অপরাহ্ন

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থেকে নিখোঁজ হওয়ার ২৮ দিন পর কিশোরী রীমা রানী সরকার (১৫)-কে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ভিকটিমের খালা শিল্পী সরকার ওরফে শিল্পী বেগম এবং তার স্বামী মোবারক মিয়া-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আমিনুল ইসলাম তার দপ্তরে এক প্রেসবিফ্রিং এ তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজার সপ্তমীর দিনে শ্রীমঙ্গল শহরের আর.কে. মিশন রোডের দুর্গা মন্দিরে অঞ্জলী দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয় কিশোরী রীমা। পরে রীমার পিতা মতিলাল বিশ্বাস বাদী হয়ে কমলগঞ্জ উপজেলার কাঠালকান্দি গ্রামের বদরুল আলম (২৫)সহ তিনজনের বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা ও আশপাশের সিসি টিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ধারাবাহিক অভিযান চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ ও ১১ অক্টোবর মামলার দুই এজাহারনামীয় আসামি বদরুল আলম ও শহিদ মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তবে তাদের কাছ থেকে ভিকটিমের অবস্থান সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরবর্তী তদন্তে ভিকটিমের খালা প্রিয়াংকা সরকারের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে তার কল রেকর্ড বিশ্লেষণ করা হয়। এতে কিশোরী রীমার অবস্থান সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা থানার ধরাধরপুর এলাকায় শনাক্ত হয়। শিল্পী সরকার ওরফে শিল্পী বেগম প্রায় দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে ধর্মান্তরিত হয়ে মোবারক মিয়ার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ঘটনার দিন তিনি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মন্দির সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করে অঞ্জলী শেষে ফেরার পথে কিশোরী রীমাকে প্রলোভন দেখিয়ে সিলেটে নিয়ে যান এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখেন। এছাড়া, ঘটনার পর রীমার মা শিল্পী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি কিশোরীর বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে অস্বীকার করেন।
অবশেষে শুক্রবার তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে কিশোরী রীমা রানী সরকারকে উদ্ধার করা হয় এবং ঘটনার মূলহোতা শিল্পী সরকার ওরফে শিল্পী বেগম ও তার স্বামী মোবারক মিয়া-কে গ্রেফতার করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় র্যাব-৯ সদস্যরা তাদেরকে সহযোগিতা করায় তাদেরও ধন্যবাদ জানান।







