শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ৬:৫৬:০১ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শাহ্ খুররম ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এবং সিলেট নগরীর ৩৯নং ওয়ার্ডের শাহপুর তালুকদারপাড়া নিবাসী মো. সিরাজুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার বাদ জোহর দরগাহে হজরত শাহজালাল র. মাজার মসজিদে জানাজা শেষে দরগাহ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় শহরতলীর দক্ষিণ সুরমার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, একমাত্র পুত্র, দুু’ কন্যা, ভাইবোন, ভাতিজা-ভাতিজি, আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী, বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী এবং দেশে-বিদেশে অসংখ্য সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধব রেখে গেছেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ তিনি নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
মো. সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ ওয়াজিদ) ১৮ নভেম্বর ১৯৫৭ সালে সিলেট সদর উপজেলার তৎকালীন ৬নং টুকেরবাজার ইউনিয়নের তালুকদারপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে সিলেটের এইডেড হাইস্কুল থেকে এসএসসি, সিলেট সরকারি এম.সি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থশাস্ত্রে ১৯৮১ সালে (১৯৭৮ সালের ব্যাচ) অনার্স ও ১৯৮৩ সালে (১৯৭৯ সালের ব্যাচে) কৃতিত্বের সাথে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি একজন তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন।
সিরাজুল ইসলাম নাটকেও অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনীত নাটক হলো কল্যাণ মিত্র বিরচিত, ‘সাগর সেঁচা মানিক’। এ নাটকে তিনি অভিনয় করেন নিজাম পাটনির চরিত্রে। ‘জয়-পরাজয়’ নাটকে ভ‚ট্টো চরিত্রে এবং ‘একে শূন্য দশ’ নাটকে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন।
১৯৮৪ সালে তিনি সৌদি আরব গমন করেন। সেখানে ২৩ মাস অবস্থান করে ১৯৮৫ সালের শেষ দিকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে লিখেন, ‘মরু প্রবাসীর জবানবন্দি’ নামক ভ্রমণ বৃত্তান্তমূলক উপন্যাস। যা’ ১৯৯০ গ্রন্থাকারে সালে প্রকাশিত হয়।
১৯৮৭ সালে সিরাজুল ইসলাম বিশ্বনাথ কলেজে অর্থনীতির প্রভাষক পদে যোগদান করেন। এখানে অধ্যাপনায় নিয়োজিত থাকাকালে তাঁর এলাকায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা জাগে।
১৯৯৩ সালে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সংগঠিত করে প্রতিষ্ঠা করেন শাহ খুররম ডিগ্রি কলেজ। এ জন্যে তাঁকে স্রোতের বিপরীতে গিয়ে অনেক চড়াই-উৎরাই পার করতে হয়েছে। দীর্ঘ পঁচিশ বছর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৭ সালের ১৮ নভেম্বর অবসর গ্রহণ করেন তিনি।







