প্রতারণা মামলায় গ্রামীনফোনের সিইওসহ ৩ জনের জামিন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৫৫:০৬ অপরাহ্ন

জালালাবাদ ডেস্ক: সাবেক কর্মীর প্রতারণা ও চুরির মামলায় গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমানসহ তিনজন আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। রোববার ঢাকার মেট্টোপলিটন মাজিস্ট্রেট রৌনক জাহান তাকির শুনানি শেষে তাদের জামিনের আদেশ দেন।
জামিন পাওয়া অপর দুজন হলেন গ্রামীণ ফোনের ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হক, চিফ হিউমান রিসোর্স অফিসার সায়েদা তাহিয়া হোসেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী জামিন আবেদনের শুনানি করেন।
এহেসানুল হক সমাজী আদালতকে বলেন, ‘রাকিবুল আজম গ্রামীনফোনের সাবেক একজন কর্মী। তর্কিত চুক্তিপত্রের ভিত্তিতে আদালতে মামলা করেন। আদালত আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। আসামিরা আইন, আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাদের জামিনের প্রার্থনা করছি।’
ঢাকা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির সদস্য খোরশেদ মিয়া আলম বলেন, ‘আসামিরা প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব। দেখবেন, জামিন পাওয়ার স্ট্যাটাস আছে কি না। জামিন পাওয়ার বিষয় বিবেচনা করে তাদের জামিনের প্রার্থনা করছি।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী রোকেয়া আক্তার রোকসানা জামিনের বিরোধীতা করে বলেন, ‘৮ লাখ টাকার অধিক পাওনা। পাওনার জন্য গ্রামীনফোনে যান। এগ্রিমেন্ট স্ট্যাম্প বুঝে পেয়েছেন মর্মে স্বাক্ষর করতে বলেন। চেক দিয়ে দেওয়ার কথা বলে। পরে বলে ঝামেলা আছে। এরপর থেকে তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।’ এরপর আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় আসামিদের জামিনের আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাকিবুল আজম বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের রোববার আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গ্রামীণফোন কোম্পানি লিমিটেডে ২০০৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চাকরি করেন রাকিবুল আজম। চাকরিরত অবস্থায় ২০১০ সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত আউটসোর্সিংয়ের রক্ষিত টাকা কর্মচারীদের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বাদী ওই আউটসোর্সিংয়ের কাজের জন্য কোম্পানির কাছে ৮ লাখ ২৯ হাজার ৯৯৮ টাকা পাওনা হয়। পরবর্তীতে গত ১০ নভেম্বর বাদীকে তার পাওনা টাকা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। বাদী তার পাওনা টাকা আনতে গেলে আসামিরা তার কাছে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ফেরত পাঠায়। এরপর আসামিরা ওই টাকা ফেরত না দিয়ে ভিন্নভাবে টালবাহানা করতে থাকে।’







