আজ ভয়াল ২৮ অক্টোবর
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০৫:০১ অপরাহ্ন

জালালাবাদ ডেস্ক : আজ ভয়াল ২৮ অক্টোবর। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচাইতে কলঙ্কিত একটি দিন। ২০০৬ সালের এইদিনে ঢাকার বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে চলছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পূর্ব ঘোষিত শান্তিপূর্ণ সমাবেশ। হঠাৎ এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অবস্থান করা আওয়ামী নেতাকর্মীরা লগি বৈঠা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
তারা নির্মমভাবে হত্যা করে শিপন-মুজাহিদ-মাসুমসহ ছয়জন মেধাবী শিবির ও জামায়াত কর্মীকে। মারাত্মকভাবে আহত হন অসংখ্য নেতাকর্মী। হত্যা করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, মৃত লাশের বুকের উপর এক অসভ্য ভঙ্গিমায় হিংস্র জানোয়ারের মত নেচে উল্লাস করেছে। যার ছবি ও ভিডিওগুলো বিশ্ববিবেককে স্তব্ধ করে দেয়। অনেকেই তখন মন্তব্য করেন তারা যা করেছে তা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, একই কায়দায় হামলা হয় সারাদেশে জামায়াতের বিভিন্ন কর্মসূচিতে। সিলেটের কোর্ট পয়েন্টে সমাবেশের আগে অতর্কিত হামলায় সেদিন মারাত্মক আহত হন সিলেট মহানগর শিবিরের তৎকালীন সভাপতি, বর্তমান সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী ড. নূরুল ইসলাম বাবুল, শিবির নেতা মনজুর রহমানসহ অনেক নেতাকর্মী। তাদের মুহুর্মুহু আঘাতে নুরুল ইসলাম বাবুল সঙ্গাহীন হয়ে পড়েন, তার মাথার খুলি ভেঙে ছয় টুকরো হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা শরীর দিয়ে ঢাল বানিয়ে তাকে সরিয়ে নেন। পরবর্তীতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর তিনি অনেকটা সুস্থ হলেও পুরো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। এক সময়ের অনলবর্ষী বক্তা নুরুল ইসলাম বাবুল এখনও কথা বলতে গেলে জড়িয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের উত্থান। আওয়ামী লীগ সেদিন সারাদেশে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। জামায়াত-শিবিরের ১৪ জনকে তারা হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করেছে। যেটি মানব সভ্যতার এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। ঐ ঘটনার মামলা হলেও শহীদ পরিবার ন্যায় বিচার পায়নি। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় বসেই সেই মামলা গায়েব করে দিয়েছিল। তিনি ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পরিচালিত প্রতিটি হত্যাকাÐের বিচার দাবি করেন।
এদিকে ২৮ অক্টোবর স্মরণে দেশব্যাপী কর্মসূচী ঘোষণা করেছে জামায়াত। কর্মসূচী হলো : জেলা, মহানগরী, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল এবং সকল পর্যায়ে আলোচনা সভা ও দোয়া। উক্ত কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহŸান জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি প্রদান করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পারওয়ার।







