সুবিপ্রবি ক্যাম্পাস নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ৬:৫৪:০৮ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস স্থানান্তরের দাবিতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে নষ্ট করার পাঁয়তারা চলছে। মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সিলেটস্থ শান্তিগঞ্জ সমিতির সদস্যবৃন্দ। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক স্বপন।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, হাওরপাড়বাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত স্বপ্ন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। জাতীয় সংসদে পাশ হওয়া সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে বিশ্ববিদ্যালয়টি শান্তিগঞ্জ উপজেলা ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার পাশে অবস্থিত দেখার হাওরপাড়ে স্থাপন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমানে নির্ধারিত স্থানটিও দেখার হাওরপাড় অপেক্ষাকৃত উঁচুস্থানে অবস্থিত। ফলে মাটি ভরাট, রিটেইনিং ওয়ালসহ সীমানা প্রাচীর এবং এপ্রোচ রোড নির্মাণে খরচ আনুপাতিক হারে কম হবে। ভবিষ্যতে অন্যান্য অবকাঠামোগুলো নির্মাণেও অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। অধিকন্তু পুরো সুনামগঞ্জ জেলার মানচিত্র পর্যবেক্ষন করলে দেখা যায় স্থানটি জেলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত।
সমিতির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, দু:খজনক হলেও সত্য যে, এতসব সুযোগ সুবিধা থাকা সত্তেও একটি মহল অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চাপ সৃষ্টি ও অনৈতিকভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়টি জটিল করে তোলার সংবাদে আমরা উদ্বিগ্ন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২২ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম উপাচার্য নিয়োগ হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনকল্পে সরকারের নিকট প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি পিজিবিলিটি স্টাডি প্রকল্পের প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়। ডিপিইসি সভায় ৪৬৮.৫০ লক্ষ টাকার প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। প্রথমে ১২৫ একর জায়গা অধিগ্রহণের প্রস্তাব থাকলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় এটা ৫০ একর করার সুপারিশ করা হয়। পরে পরিচালক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন এবং উপাচার্যের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ও তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনের যুক্তিকতা অবগত হয়ে ৭৫ একর ভ‚মি অধিগ্রহনের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়।
গত ২৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেটে উপস্থাপিত হয়। সিন্ডিকেট যাবতীয় কার্যক্রমে অবহিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন করেন। এ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রায় তিন বছর সময় লেগেছে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষ প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচের ক্লাস নির্ধারিত জায়গার সন্নিকটবর্তী অস্থায়ী ক্যাম্পাসে পুরোদমে চলমান রয়েছে। ছাত্র/ছাত্রীদের আবাসিক সমস্যা সমাধানে দুটি হলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে ছাত্র/ছাত্রীরা নির্বিঘেœ বসবাস করছে। সমিতি নেতৃবৃন্দ প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ে অযথা টানাহেঁচড়া করে প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যত নষ্ট করার ষড়যন্ত্র পরিহার করার আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সমিতির সভাপতি মো. কবিরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি হযরত আলী তালুকদার, সহ-সভাপতি মশিউর রহমান জায়গীরদার, সুয়েব আহমদ, রেজওয়ানুল হক, তালেব হোসেন, বাবলুল হক, যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক এমজেএইচ জামিল, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম সাইদ, কোষাধ্যক্ষ মোঃ সাইরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক রাজিব হোসাইন, সহ-দপ্তর সম্পাদক রাফি মিজান নূর, নির্বাহী সদস্য সোহাগ মিয়া, ফিরোজ আহমদ ফিরোজ ও ইমামুল তালুকদার তপন প্রমূখ। বিজ্ঞপ্তি







