অরুণাচলের কাছে চিনের ৩৬টি বিমান বাংকার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ৮:২১:৪৫ অপরাহ্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের লুনজে বিমানঘাঁটি অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং থেকে প্রায় ১০৭ কিমি দূরে অবস্থিত। এখানে সম্প্রতি ৩৬টি মজবুত বিমান বাংকার, নতুন প্রশাসনিক বøক এবং একটি নতুন অ্যাপ্রন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে চীন তাদের যুদ্ধবিমান ও ড্রোন সামগ্রী দ্রæত সীমান্তবর্তী এলাকায় মোতায়েন করতে সক্ষম হবে।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বি এস ধানোয়া গণমাধ্যমকে বলেন, “লুনজেতে ৩৬টি মজবুত বিমান বাংকার নির্মাণ স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভবিষ্যতে কোনো ঘটনা ঘটলে তাদের কৌশলগত ফাইটার ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার লুনজে ঘাঁটি থেকেই তাদের সেনাবাহিনীকে সহায়তা দেবে।” তিনি আরও জানান, এই অঞ্চলের ভ‚গর্ভস্থ সুড়ঙ্গগুলোতে সম্ভবত ইতিমধ্যেই গোলাবারুদ ও জ্বালানি মজুত করা হয়েছে।
সাবেক এয়ার মার্শাল অনিল খোসলা বলেন, লুনজে বিমানঘাঁটির আধুনিকীকরণ চীনের ভবিষ্যতের যুদ্ধ পরিকল্পনার ইঙ্গিত বহন করছে এবং এটি ভারতের জন্য ‘গুরুতর কৌশলগত হুমকি’। গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে উভয় দেশের সীমান্তে অচলাবস্থা চললেও চীন তাদের বিমানঘাঁটিগুলো আধুনিক ও শক্তিশালী করছে।
মজবুত বিমান বাংকারগুলো নির্ভুলভাবে লক্ষ্যভেদী গোলাবারুদ, ভারতীয় বিমান হামলা বা ক্ষেপণাস্ত্র থেকে সুরক্ষা দেবে। বিমানঘাঁটিগুলো প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ৫০-১৫০ কিমি দূরে অবস্থিত, যা সীমান্তে কোনো উত্তেজনার সময় দ্রæত প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করবে। চীন সিএইচ-৪ ড্রোন ব্যবহার করছে, যা ১৬,০০০ ফুটের বেশি উচ্চতা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম।
ভারতের সরাসরি প্রতিক্রিয়া ২০২৯ সালে শুরু হবে, যখন আইএএফ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী স্কাই গার্ডিয়ান ড্রোন মোতায়েন করবে। সাবেক এয়ার মার্শাল এসপি ধারকর বলেন, চীনের আধুনিক বিমানবাহিনী এবং নতুন অবকাঠামো ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
ড্যামিয়েন সাইমন মন্তব্য করেছেন, লুনজে বিমানবাংকার নির্মাণ চীনের বিমানশক্তি বৃদ্ধির প্রমাণ এবং ভারতীয় এলএসির শক্তিশালী অবকাঠামোকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। চীনের বিদ্যমান বিমানঘাঁটিগুলোর আধুনিকীকরণ এবং নতুন ঘাঁটি নির্মাণ বহু দশক ধরে ভারতের উত্তর সীমান্তে তাদের কৌশলগত অবস্থান শক্তিশালী করছে।





