গভর্নরকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দিয়ে খসড়া অধ্যাদেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ৮:৪২:৫৬ অপরাহ্ন

জালালাবাদ ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অধ্যাদেশ (সংশোধন) ২০২৫’ এর খসড়া চূড়ান্ত করে গতকাল বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। অর্থ বিভাগ যাচাই বাছাই শেষে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উপস্থাপন করবে। সেখানে খসড়াটি পাস হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মন্ত্রীর পদমর্যাদা পাবেন।
বর্তমানে রাষ্ট্রীয় মার্যাদাক্রম বিন্যাসের (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স, ১৯৮৬) পঞ্চদশ অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। এ অবস্থানে আরও রয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল, কম্পোটলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল, ন্যায়পাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। গভর্নরের অবস্থান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিবের নিচে তবে সরকারের সচিবদের ওপরে।
প্রধানমন্ত্রী ‘দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স (রেমুনারেশেন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (অ্যামেন্ডমেন্ট) আইন, ২০১৬’ এবং মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা ‘দ্য মিনিস্টারস, মিনিস্টার অব স্টেট অ্যান্ড ডেপুটি মিনিস্টারস (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (অ্যামেন্ডমেন্ট) আইন, ২০১৬’ অনুযায়ী বেতন-ভাতা ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। একজন মন্ত্রী মাসে বেতন পান ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। একজন মন্ত্রীর দৈনিক ভাতা ২ হাজার টাকা, নিয়ামক ভাতা মাসিক ১০ হাজার টাকা, স্বেচ্ছাধীন তহবিল ১০ লাখ টাকা, মোবাইল ফোন কেনার জন্য ৭৫ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। মন্ত্রীদের বেতন করের আওতামুক্ত।
এছাড়া সরকারি খরচে সার্বক্ষণিক গাড়ি পান মন্ত্রীরা। ঢাকার বাইরে অফিসিয়াল ট্যুরের জন্য অতিরিক্ত একটি জিপ গাড়ি পান, যার যাবতীয় খরচ সরকার বহন করে। এছাড়া গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোনসহ সরকারি বাসভবনের যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণ সরকার বহন করবে। সরকারি বাসায় না থাকলে বাড়ি ভাড়া বাবদ ৮০ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে বাড়ি ব্যবস্থাপনা খরচ ও সব ধরণের সেবা খাতের বিল পান মন্ত্রীরা। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রহরী ছাড়াও একজন মন্ত্রীর বাসস্থান থেকে অফিস বা অফিস থেকে বাসস্থানে যাতায়াতের খরচ পান। নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের ভ্রমণ খরচও তিনি পান। এছাড়া অন্তত দুইজন গৃহকর্মীর ভ্রমণের খরচ পেয়ে থাকেন।
একজন মন্ত্রী উপসচিব পদমর্যাদার একজন একান্ত সচিব, সহকারী সচিব পদমর্যাদার একজন সহকারী একান্ত সচিব এবং ক্যাডারের বাইরে থেকে আরেকজন সহকারী একান্ত সচিব পান। এছাড়া জাতীয় বেতন স্কেলে দশম গ্রেডের দুইজন কর্মকর্তা পান। আরও পান একজন জমাদার ও একজন আর্দালি, দুইজন এমএলএসএস, একজন পাচক বা পিয়ন।






