স্থাপন হচ্ছে ডিফেন্স ইকোনমিক জোন
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ৮:৫২:৪৯ অপরাহ্ন

জালালাবাদ ডেস্ক : স্বনির্ভর একটি প্রতিরক্ষা শিল্পের ভিত্তি গড়ে তোলার বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একটি বিশেষায়িত ডিফেন্স ইকোনমিক জোন বা সামরিক অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই উদ্যোগের লক্ষ্য সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর ব্যবহারের জন্য ড্রোন, সাইবার প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র ও গোলাবারুদের চাহিদা পূরণ। পাশাপাশি এসব রপ্তানির সম্ভাবনাও লক্ষ্যে রয়েছে।
কর্মকর্তাদের মতে, এ শিল্পের বিকাশে রাজস্ব বাজেট, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি), যৌথ উদ্যোগ কিংবা সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) -এর মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রতিরক্ষাখাতের আধুনিকায়ন এবং আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের জন্য প্রযুক্তি হস্তান্তর, যৌথ বিনিয়োগ, পিপিপি ও এফডিআই সহজ করতে বেশকিছু নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় বিশেষায়িত ডিফেন্স ইকোনমিক জোন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। সভায় উচ্চ পর্যায়ের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের সরকার ও প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের উদীয়মান প্রতিরক্ষা উৎপাদনখাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে ওই সভার কার্যবিবরণীতে উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্পে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিশেষায়িত ডিফেন্স ইকোনমিক জোন স্থাপনের বিষয়ে কাজ চলছে। জোনটি কোন এলাকায়, কি পরিমাণ জমি নিয়ে স্থাপন করা হবে, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। আমরা এখন পলিসি ও সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে কাজ করছি। বিভিন্ন বন্ধুসুলভ দেশের সঙ্গে কথা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা শিল্পকে রপ্তানিমুখী শিল্পে পরিণত করার লক্ষ্যও রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৩০ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টা নীতিগত দিকনির্দেশনার অনুমোদন দেন। বেজার চেয়ারম্যানের অনুরোধ পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিরক্ষা শিল্প স্থাপন সম্পর্কিত একটি সমন্বিত জাতীয় নীতিমালার খসড়া ধারণাপত্র (কনসেপ্ট পেপার) তৈরি কাজ শুরু করেছে।
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের অভ্যন্তরীণ চাহিদার পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার। এর পাশাপাশি বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি এবং আধা-সামরিক নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর প্রতিরক্ষা হার্ডওয়্যারের বড় ধরণের চাহিদা রয়েছে। তাই একটি শক্তিশালী নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প এ চাহিদার বড় অংশ পূরণ করতে পারবে, এবং পরবর্তীতে রপ্তানির পথও খুলে দিতে পারবে বলে জানান সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তারা।







