দক্ষিণ সুরমায় আ.লীগ নেতা খুন : ৩ দিনের রিমান্ডে ছেলে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ৮:৪৫:০৯ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় নিজ বাসায় খুন হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যা মামলায় ছেলে আসাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতের বিচারক শফিকুল হক শুনানি শেষে আসাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, রাজ্জাক হত্যা মামলায় পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে ছেলে আসাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত- গত ৩১ অক্টোবর সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামে নিজ বাসার ছাদের সিঁড়ির পাশে একটি কক্ষ থেকে আবদুর রাজ্জাকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। সেদিন পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছিল, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ শেষে আবদুর রাজ্জাক ছাদে হাঁটার জন্য উঠেছিলেন। এরপর সকাল ৯টার দিকে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ দেখার পর পুলিশকে জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, আবদুর রাজ্জাকের পেট, বুক, পুরুষাঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাতের গভীর চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশের পাশ থেকে একটি ২২ ইঞ্চি লম্বা ছুরি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না করায় দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই আনোয়ারুল কামাল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় নিহত রাজ্জাকের ছেলে আসাদ আহমদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত শনিবার (১ নভেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। সোমবার আদালতে তার রিমান্ড শুনানী হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত আবদুর রাজ্জাকের এক ছেলে ও এক মেয়ে। দুজনেরই বিয়ে হয়ে গেছে। সন্তানদের মধ্যে মাস দুয়েক আগে সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারাও করে দেন। এরপর থেকে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য সম্প্রতি ভারতেও গিয়েছিলেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে ঘটনার বৃহস্পতিবার ভোর থেকে লাশ উদ্ধারের আগ পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির বাড়িতে কাউকে ঢুকতে কিংবা বাহির হতে দেখা যায়নি। এর মধ্যে শুধু ওই বাড়ির গৃহকর্মী সকাল আটটার দিকে বাড়িতে ঢোকেন। তিনি বাড়িতে যাওয়ার পর আবদুর রাজ্জাককে তার কক্ষে পাননি। একপর্যায়ে সিঁড়ির ঘরে লাশটি দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। এ সময় সিঁড়ির দরজা তালাবদ্ধ ছিল, সিঁড়ির চাবি আবদুর রাজ্জাকের কাছেই ছিল। তাই সবমিলিয়ে বাইরে থেকে কারো এই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর সম্ভাবনা নেই। এজন্য পরিবারের সদস্যদের উপর নজর রাখছে পুলিশ।






