মাঠ থেকে অর্ধেক সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ৮:১৪:৩৫ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় মাঠে দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫০ শতাংশ সদস্যকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে সেনাসদর থেকে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো এক চিঠিতে মাঠে থাকা সেনা সদস্যদের অর্ধেক প্রত্যাহারের অনুমতি চাওয়া হয়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক উল্লেখ করে সেনা প্রত্যাহারে সম্মতি জানায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন স্বাভাবিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম। পাশাপাশি, সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে, কারণ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের আবার মোতায়েন করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা কাছে সেনাসদরের চিঠিতে যা বলা হয়েছে: ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের ৫০ শতাংশ প্রত্যাহার প্রসঙ্গে শিরোনামে প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের পক্ষে লে. কর্নেল মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান ফয়সাল স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘নির্দেশনা মোতাবেক বর্তমানে মোতায়েনকৃত জনবলের ৫০ শতাংশ প্রত্যাহার কার্যক্রম অনতিবিলম্বে সম্পাদন করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এ প্রেক্ষিতে মোতায়েনকৃত জনবল সব জায়গা থেকে সমভাবে প্রত্যাহার না করে অপেক্ষাকৃত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর স্থান/এলাকা/স্থাপনা সমূহের ক্ষেত্রে অগ্রগণ্যতা প্রদান করতঃ স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহের সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক প্রত্যাহার পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে, যাতে করে সার্বিকভাবে দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিদ্যমান স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা সম্ভব হয়।
যা বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবদুল হাই স্বাক্ষরিত সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার বরাবরে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে ইন-এইড-টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ইন-এইড-টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনী, জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক জনজীবন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।






