সায়েন্স র্যাঙ্কিংয়ে নেই শাবিপ্রবি, স্থান পেল ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৮:৪০:১৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী টাইমস হায়ার এডুকেশনের ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পায়নি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ এটি দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এই র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা করে নিয়েছে দেশের ১০টি পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার টাইমস হায়ার এডুকেশনের ২০২৬ সালের র্যাঙ্কিং থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে দেখা যায়, টাইমস হায়ার এডুকেশনের ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে দেশের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ৭টি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৩টি। বিশ্বের ৯৪টি দেশের মোট ৯১১টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এবারের র্যাংকিংটি তৈরি করা হয়েছে। তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান বিশ্বে ৫২তম ও বাংলাদেশে প্রথম।
টাইমস হায়ার ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র্যাংকিং মূলত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বহুমাত্রিক ও আন্তঃবিষয়ক গবেষণা কার্যক্রমকে মূল্যায়ন করে থাকে। এ মূল্যায়ন প্রক্রিয়াটি তিনটি প্রধান কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়- ইনপুট: অর্থায়ন ও গবেষণা বিনিয়োগ, প্রক্রিয়া: সাফল্যের পরিমাপ, সুযোগ-সুবিধা, প্রশাসনিক সহায়তা ও প্রচার, আউটপুট: প্রকাশনা, গবেষণার মান, প্রভাব ও খ্যাতি। এ তিনটি কাঠামোর অধীনে মোট ১১টি কর্মক্ষমতার সূচক বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত র্যাংকিং নির্ধারণ করা হয়।
তালিকায় থাকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ৩০১-৩৫০, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ৩৫১-৪০০, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস, এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি ৪০১-৫০০, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৪০১-৫০০, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ৪০১-৫০০, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৫০১-৬০০, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৫০১-৬০০, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ৬০১-৮০০ ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৬০১-৮০০তম স্থান রয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স র্যাঙ্কিংয়ে স্থান না পাওয়াকে ফ্যাসিস্ট আমলের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভূইয়া ও অধ্যাপক ড. মো. সালেহ উদ্দিনের আমলের সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষক ও কর্মকর্তরা বলছেন, এই তিন ভিসির আমলে শাবিপ্রবিতে শিক্ষক নিয়োগে মেধার পরিবর্তে দলীয় পরিচয়কে প্রাধান্য দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমনকি বিশ্ব বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করা সত্ত্বেও অনেক প্রার্থীকে নিয়োগ না দিয়ে কলেজ থেকে পাস করা প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে, এমন নজির অহরহ।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগে বিগত আমলের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে না। মেধাবীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষার গুণগত মান শতভাগ নিশ্চিত করা হচ্ছে। আশা করি, শিগগির শাবিপ্রবি ফের সুনাম কুড়াবে।





