রাজনগর ইউএনও না থাকায় বেতন ভাতা বন্ধসহ উন্নয়ন কার্যক্রমে স্থবিরতা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ৬:৩১:৫২ অপরাহ্ন

শংকর দুলাল দেব, রাজনগর : মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় দুই মাস ধরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পদ শূণ্য থাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি দপ্তরসহ সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। রাজনগরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আর্থিক ক্ষমতাহীন ভারপ্রাপ্ত ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। ইউএনও’র স্বাক্ষর ছাড়া যেমন বেতন ভাতা হয় না কর্মচারীদের তেমনি উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক কর্ণধার হওয়ায় বিভিন্ন ফাইলে তাকেই স্বাক্ষর দিতে হয়। কিন্তু বিগত দুই মাস ধরে এ জনগুরুত্বপূর্ণ পদটি চলছে আর্থিক ক্ষমতাহীন ভারপ্রাপ্ত দিয়ে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস সূত্রে জানা যায়, সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা হাবিব শাপলা গত ৬ অক্টোবর বদলি হওয়ার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন রাজনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা তুজ জহুরা। তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করে সাধারণ বিষয়গুলো দেখভাল করলেও আর্থিক বিষয়ে স্বাক্ষরের দায়িত্ব তাকে দেয়া হয়নি। এদিকে, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির সভাপতি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে আর্থিক লেনদেন বন্ধ রয়েছে। ফলে চলমান বার্ষিক পরীক্ষা, আসন্ন জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা, বোর্ড সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে চরম অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রমেও একই অবস্থা। উপজেলা প্রকল্প অফিসের টিআর, কাবিখা’র ১ম পর্যায়ের তালিকা প্রস্তুত করলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষরের অভাবে তা পাস হয়নি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজের বিল প্রস্তুত হলেও নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষরের কারণে আটকে আছে উন্নয়ন কার্যক্রম। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিল পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস, শিক্ষা অফিস, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কাজে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। আটকে আছে শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা। বিগত মাসে বেতন পাননি নির্বাহী অফিসারের কর্মচারীরাও। চলতি মাসেও বেতন ভাতা হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, নির্বাহী অফিসার না থাকায় আমাদের বেতন ভাতা হচ্ছে না। গত মাসে বেতন পাইনি। চলতি মাসের বেতন কবে পাবো তাও বলতে পারছি না।
এ ব্যাপারে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ফাতেমা তুজ জহুরা বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে রুটিন দায়িত্ব পালন করছি। আর্থিক বিষয়ে আলাদা করে দায়িত্ব দিতে হয়। এটি না থাকায় আমি স্বাক্ষর করতে পারছি না।





