পিডিবির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা মাত্র ৪২%
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ৮:০৭:০৩ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : স্বাধীনতার ৫৫ বছরেও দেশ বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারেনি। এখনও আমদানি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্ভর দেশ। ফলে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা টেকসই গড়ে ওঠেনি। স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পরেও সরকারি মালিকানাধীন পিডিবির বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা মাত্র ৪২ শতাংশ।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের একমাত্র সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থায় নিয়োজিত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সক্ষমতা না বাড়িয়ে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিতর্কিত কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে ঝুঁকে পড়ে আওয়ামীলীগ সরকার। ফলে ১৭ বছরেও সরকারিভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এক শতাংশও বাড়েনি। কুইক রেন্টালের নামে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে বসিয়ে রেখেও লাখ লাখ কোটি টাকা রাষ্ট্রের লুটপাট করে আওয়ামীলীগ। এমনকি বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে বসিয়ে বিপুল পরিমাণ ক্যাপাসিটি চার্জ দিলেও সেই কোম্পানীগুলোকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রেখে ভারত থেকে আমদানি করে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট হাসিনসার সরকার।
তারা বলছেন, সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা না বাড়িয়ে দলীয় ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্ভর হয়ে পড়ে আওয়ামীলীগ। ফল স্বরুপ ২০২১ সালে আওয়ামীলীগের সময়ই দেশের ভয়াবহ বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দেয়।
জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৫টি, যাদের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২৭ হাজার ৯০৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ৬৩টি কেন্দ্র সরকারি মালিকানাধীন, যারা ১১ হাজার ৭৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এটি দেশের মোট উৎপাদন ক্ষমতার ৪২ শতাংশ।এছাড়া যৌথ উদ্যোগের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ২ হাজার ৪৭৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, যা মোট সক্ষমতার ৯ শতাংশ। বেসরকারি ৭০টিরও বেশি আইপিপি ১১ হাজার ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে, যা মোট সক্ষমতার ৪০ শতাংশ। বাকি ২ হাজার ৬৩৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসে আমদানি থেকে।





