শতকোটি ঘনফুট গ্যাস মজুত মৌলভীবাজারে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ৮:১৭:২৭ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : শতকোটি ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে খনিজ সম্পদে ভরপুর মৌলভীবাজার জেলায়। দেশে মোট ৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুটের মধ্যে ২০ ট্রিলিয়ন অর্থাৎ ১০০ কোটি ঘনফুট শুধু মৌলভীবাজার জেলার গ্যাস ফিল্ডে মজুদ রয়েছে। বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১ জুলাইয়ের হিসেবে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, দেশে গ্যাসের মজুত নিয়ে সর্বশেষ সমীক্ষা চালানো হয় ২০১০ সালে। ওই সময় বিদেশি কোম্পানিকে দিয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে মজুতের হিসাব করা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুত ২৮ দশমিক ৭৯ টিসিএফ (ট্রিলিয়ন বা লাখ কোটি ঘনফুট)। ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৩৩ টিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়ে যায়। এতে মজুত বাকি থাকে সাড়ে ৮ টিসিএফের মতো।
২০২৩ সালে পেট্রোবাংলা গ্যাস উত্তোলনকারী কোম্পানিগুলোকে দিয়ে মজুত কত আছে, তা নতুন করে পর্যালোচনা করায়। এতে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মজুত দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০ টিসিএফ। অবশ্য সে পর্যন্ত উৎপাদন করা হয়েছে প্রায় ২২ টিসিএফ গ্যাস। ফলে মজুত রয়েছে ৮ টিসিএফের মতো। দেশে এখন বছরে গড়ে গ্যাস উৎপাদন করা হয় পৌনে এক টিসিএফ গ্যাস। এ হিসাবে মজুত গ্যাস দিয়ে আরও বর্তমান হারে প্রায় ১১ বছর উৎপাদন চলার কথা।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খনিতে শেষ দিকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গ্যাস রেখে উত্তোলন বন্ধ করে দিতে হয়। কারণ, সেই গ্যাস বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য থাকে না, কিন্তু মজুতের হিসাবে ধরা হয়। বিশেষজ্ঞরা এসব বিবেচনায় নিয়ে মজুত গ্যাস দিয়ে আর আট বছরের মতো চলতে পারে বলে প্রাক্কলন করছেন, তাও বর্তমান হারে উত্তোলন ধরে। উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুত ২৮ দশমিক ৭৯ টিসিএফ (ট্রিলিয়ন বা লাখ কোটি ঘনফুট)। ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৩৩ টিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়ে যায়। এতে মজুত বাকি থাকে সাড়ে ৮ টিসিএফের মতো।
পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ২৯টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এর মধ্যে উৎপাদনে আছে ২০টি। বাকিগুলোর মধ্যে চারটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করা হলেও উত্তোলন করা হচ্ছে না। সেগুলো হলো ভোলার ইলিশা ও ভোলা নর্থ, সিলেটের জকিগঞ্জ এবং কুতুবদিয়া। এসব খনি থেকে গ্যাস উত্তোলনের জন্য পাইপলাইন ও অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি হয়নি। বাকি পাঁচটি খনিতে ৬৬১ বিসিএফ গ্যাস থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময় উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, ওই গ্যাস বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য নয়। খনিগুলো হলো নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, সিলেটের ছাতক, গাজীপুরের কামতা, ফেনী ও সাংগু (চট্টগ্রাম)।
২০২৪ সালের ১ জুলাইয়ের হিসাবে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাসে অবশিষ্ট মজুত আছে প্রায় ২ টিসিএফ। হবিগঞ্জের বিবিয়ানায় আছে ১ দশমিক ৬৬ টিসিএফ। মৌলভীবাজারে আছে প্রায় ২০ বিসিএফ (বিলিয়ন বা শতকোটি ঘনফুট) গ্যাস। ৭০০ বিসিএফের কম মজুত আছে জালালাবাদে। সিলেটের বাখরাবাদ, কৈলাসটিলা, রশিদপুরসহ বাকি গ্যাসগুলোতেও মোটামুটি পরিমাণে গ্যাসের মজুত আছে।




