শাবির ইইই বিভাগের শিক্ষক ইফতে খাইরুলের অপসারণ চায় শিক্ষার্থীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ৮:১৯:১৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) তড়িৎ প্রকৌশল (ইইই) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. ইফতে খাইরুল আমিনের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও আচরণগত গুরুতর অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবি তুলেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণ ও তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার টানা চার দিনের মতো ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, অধ্যাপক ড. ইফতে খাইরুল আমিনকে স্থায়ীভাবে অপসারণ না করলে শিক্ষার্থীরা অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ফেরবেন না। তবে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত মঙ্গলবার রাতে খাইরুল আমিনকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে শিক্ষার্থীরা সাময়িকভাবে অব্যাহতি মানতে নারাজ, তাদের দাবি, অধ্যাপক ড. ইফতে খাইরুল আমিনের বিরুদ্ধে স্থায়ী শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, কোর্সে পাস করা ও সার্টিফিকেট পাওয়া নিয়ে হুমকি, অযৌক্তিক কারণে অভিভাবকদের ফোন করে অপমান করা, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সহযোগিতা না করা, কথা বলতে গেলে ভয় দেখানোসহ বিভিন্ন অপমানজনক আচরণের অভিযোগ তুলে গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিভাগীয় প্রধান ইফতে খাইরুল আমিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকসুলভ আচরণ করেন না। তদন্ত মোতাবেক এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানানো হয়।
বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, সম্প্রতি ইইই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় সংকট ও প্রধানের আচরণগত সমস্যার কথা তুলে ধরে সমাধানের অনুরোধও করেন। পদত্যাগ দাবিতে গত রোববার বিভাগের প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন শুরু করেন। এতে বিভাগের স্বাভাবিক শিক্ষাকার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইইই বিভাগের দায়িত্ব স্কুল অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন পালন করবেন বলে জানানো হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইফতে খাইরুল আমিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে রায় শুনিয়ে দেওয়া হয়েছে, অথচ অভিযোগের কোনো কপি বা জবাব দেওয়ার সুযোগ আমাকে দেওয়া হয়নি। আমি স্বেচ্ছায় অব্যাহতি দেব না, প্রয়োজন হলে প্রমাণসহ তদন্তের জবাব দেব। তিনি আরও বলেন, আমার কথায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দুঃখিত। তবে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে হবে। তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম জানান, বুধবার থেকে অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। শেষ হলে অভিযোগের বিষয়ে জানা যাবে।




