পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান হত্যা মামলা যুক্তিতর্ক শেষ, চূড়ান্ত শুনানি রোববার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ৮:৪০:৫১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বহুল আলোচিত সিলেট নগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে নিহত রায়হান হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির যুক্তিতর্ক শেষে বুধবার (২৬ নভেম্বর) শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি বহিষ্কৃত এএসআই আশেক এলাহির পক্ষে যুক্তিতর্কের আবেদনের পর বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) শুনানির দিন ধার্য থাকলেও আদালত তা পরিবর্তন করে আসছে রোববার (৩০ নভেম্বর) নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে মহানগর দায়রা জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, এএসআই আশেক এলাহির যুক্তিতর্ক শেষে মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা হতে পারে।
বাদীপক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আবুল ফজল চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য তারিখ থাকলেও আদালত নতুন তারিখ হিসেবে রোববার নির্ধারণ করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বদরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়েছে। রোববারের শুনানি শেষ হলে রায়ের দিন ঘোষণা হতে পারে।
আদালত সূত্র আরও জানায়, মামলার প্রধান আসামি বন্দরবাজার ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া চলতি বছরের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর ১০ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পান। পরে সেই জামিন স্থগিত হলেও তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করে পলাতক রয়েছেন।
প্রসঙ্গত- ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রাতে রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করা হয়। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টায় তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলা দায়ের করেন। তদন্তে নির্যাতনের প্রমাণ মিললে এসআই আকবরসহ ৭ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং কনস্টেবল হারুনসহ ৩ জনকে পিবিআই গ্রেফতার করে। ঘটনার প্রায় এক মাস পর ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর কানাইঘাট সীমান্ত এলাকা থেকে প্রধান অভিযুক্ত আকবরকে আটক করা হয়। ২০২১ সালের ৫ মে পিবিআই ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, এসআই হাসান উদ্দিন ও আবদুল আল নোমান।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। মোট ৬৯ সাক্ষীর মধ্যে ৬৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন আদালত। আগামী রোববার যুক্তিতর্ক শেষে যেকোনো সময় রায়ের দিন ঘোষণার আদেশ দিতে পারেন বলে আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।




