দক্ষিণ সুরমায় আমন ধানের বাম্পার ফলন
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:০৬:২৭ অপরাহ্ন
শরীফ আহমদ, দক্ষিণ সুরমা: দক্ষিণ সুরমায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে কৃষকের ঘরে ঘরে বইছে আনন্দের ঢেউ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ফলন ভালো হয়েছে।উপজেলার ৪ ইউনিয়ন মোগলাবাজার, জালালাপুর, লালাবাজার, দাউদপুরে এবার ব্যাপক রোপা আমন ফলন হয়েছে। পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিন থেকে চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী কৃষকরা আমন ধান কাটতে শুরু করেছেন। কৃষক-কৃষাণীরা ধান কাটতে, শুকাতে ও গোলায় তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামী এক মাসের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শেষ হবে। তবে এক সাথে সারাদেশে ধান কাটা শুরু হওয়ায় শ্রমিক সংকট দেখা দিতে পারে বলে কৃষকরা আশঙ্কা করছেন।
এ বিষয়ে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাইদ জানান, এ বছর দক্ষিণ সুরমায় ২২ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চাষ হয়েছে ৮ হাজার ২৪০ হেক্টর আমন ধান। ধারণা করা হচ্ছে, এবার ৩ হাজার ১৩৫ মেট্রিক টন ধান উৎপন্ন হবে। বাম্পার ফলন হওয়ায় প্রতি হেক্টরে গড়ে ৪ হাজার ২০০ কেজি চাল উৎপাদন হবে বলে মনে করছেন কৃষি কর্মকর্তা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ গৌতম পাল জানান, গত বছর থেকে এবার ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ধান বেশি উৎপাদন হবে। ব্রি-ধান ৪৯, ৫১, ৫২, ৭৫, ৯৪, ৯৫ ও ১০৩ ধানের চাষ হয়েছে। এই উপজেলায় বি-ধান ১০৩ বেশি চাষ হয়েছে। কারণ এ জাতের ধানের ফলন ভালো। বিরন ধানের চাষ হয়েছে ১৮০ হেক্টর কৃষি জমিতে।
৬০ ভাগ ধান পেকে গেছে। দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার, কামালবাজার, জালালপুর, দাউদপুর, মোগলাবাজার ও তেতলী ইউনিয়নের কিছু অংশে কৃষক আমন ধানের উপর নির্ভরশীল। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার ফলনও ভালো হয়েছে। পোকামাকড়ের আক্রমণও ছিল এবার কম।
সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবার কারণে ও বাজারে ধানের মূল্য ভালো থাকায় কৃষকরা উৎসাহিত হয়ে অনাবাদি জমিতে ধান চাষ করেছেন। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন ধানের চাষ ফলন ভালো হয়েছে। এবার সরকার প্রতি কেজি ধানের ৩৬ দাম টাকা ও আতপ চাল প্রতি কেজি ৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছে বলে জানান।





