শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩:০০:৫০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : আজ ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। পৃথিবীর ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। ১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ চলছিল, তখন বাঙালি বুদ্ধিজীবী হত্যা ছিল নৃশংসতম ও বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ। জাতি যখন বিজয়ের খুব কাছে, সেই সময় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ধরে ধরে হত্যা করে পাক বাহিনী ও তাদের দোসররা। ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড চালায় তারা। বাঙালি শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদগণ এই সুপরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হন।
বছর ঘুরে আবারও এসেছে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতি আজ স্মরণ করবে একাত্তরে অকালে প্রাণ হারানো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২১ পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনুস এ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে স্থাপিত ঘাঁটিতে নির্যাতনের পর রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুর কবরস্থানে নিয়ে হত্যা করা হয়।
সিলেট অঞ্চলের অধিবাসী অনেক বুদ্ধিজীবীও দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে আত্মাহুতি দেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন, ডা. শামসুদ্দিন আহমদ, কমর উদ্দিন, মাওলানা অলিউর রহমান, অ্যাডভোকেট রামরঞ্জন ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নান, অ্যাডভোকেট এম এ হাফিজ, ডা. আব্দুন নূর প্রমুখ।
এদিকে, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কর্মসূচির কথা জানান। রিজভী বলেন, ‘জাতীয় জীবন থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি দিন সামনে রেখে আমরা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মহান বিজয়ের চেতনা স্মরণে দলীয়ভাবে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে।
এদিকে, যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে আগামীকাল ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’। আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ এই দু’টি দিন। জাতির ইতিহাসে দিবস দু’টি আত্মত্যাগ, সংগ্রাম ও গৌরবের চিরন্তন স্মারক। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য যাঁরা নিজেদের অমূল্য জীবন উৎসর্গ করেছেন— সেই সকল শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান আমরা গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে তাঁদের সকলের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।




