জালালাবাদ ই-পেপার
সিলেট, শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

পর্যটনের নগরে পর্যটক নেই


আপডেট: ৯:৪৫:৫৩, ২৬ জুলাই ২০২৪, শুক্র বার
পর্যটনের নগরে পর্যটক নেই

*তিন মাস ধরে পর্যটকশূন্য সিলেট * মাথায় হাত পর্যটন ব্যবসায়ীদের

 


জালালাবাদ রিপোর্ট : পর্যটনের নগর সিলেটে এখন পর্যটক নেই। খা খা করছে পর্যটন স্পটগুলো। নিরব নিস্তব্ধ জাফলং, সাদাপাথর, বিছনাকান্দি, শ্রীমঙ্গলের অগণিত চা বাগান থেকে শুরু করে প্রতিটি এলাকা। আর পর্যটক খরায় মাথায় হাত পর্যটন ব্যবসায়ীদের।প্রথমে চার দফা বন্যা, এরপর আন্দোলন ও পরে কারফিউ। এ তিন কারণে সিলেট যেন এখন এক স্তব্ধ জাহাযের নাম। স্থবির সবকিছু। গত তিন মাস ধরে সিলেটে দেখা মেলেনি পর্যটকের। চলতি মাসের অর্ধেক দিন দোকানপাট খুলতে পারেননি ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ঈদুল আজহাসহ পর্যটনের এই ভরা মৌসুমে সিলেট বিভাগে পর্যটনখাতেই ক্ষতি হয়েছে ১০ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা। চলমান পরিস্থিতিতে মাস শেষে গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে পারবেন কিনা সেটা নিয়ে আছেন দুশ্চিন্তায়। সিলেটের পর্যটনশিল্প রক্ষায় সরকারি প্রণোদনা চান বিকল্প ব্যবসায়ীরা।

পর্যটনশিল্পকে ঘিরে সিলেট মহানগর ও জেলা, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলসহ চার জেলায় গড়ে ওঠেছে কয়েকশ হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস। এই খাতে বিনিয়োগ কয়েক হাজার কোটি টাকা। এছাড়া সিলেটের রেস্টুরেন্ট, রেন্ট-এ-কার, কুটিরশিল্প ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত পর্যটনশিল্প। পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় লাখো মানুষের জীবন জীবিকার চাকা ঘুরে। কেউ নৌকা দিয়ে পর্যটক পরিবহন করে, আবার কেউ পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগে ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

কিন্তু গত মে মাস থেকে সিলেটে শুরু হয় বন্যা। চার দফা বন্যায় বার বার বন্ধ ঘোষণা করা হয় পর্যটনকেন্দ্রগুলো। নদীতে পানি ও স্রোত বৃদ্ধি এবং প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটকরা সিলেটবিমুখ হয়ে পড়েন। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সিলেটে পর্যটকরা আসতে শুরু করেন। যখনই ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখা শুরু করেন পর্যটনখাতের ব্যবসায়ীরা, তখনই হোঁচট। স্বপ্ন মিলিয়ে গেলো কোটা সংস্কার আন্দোলনে। দেশজুড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং পরে সংঘাত-সংঘর্ষ ও কারফিউয়ের কারণে পর্যটনখাতের ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে সারা দেশে পর্যটন ব্যবসা কমলেও সিলেটে পর্যটক আগমন হয় সবেচেয়ে বেশি। বর্ষায় প্রকৃতি নবযৌবন লাভ করে, এতে সৌন্দর্য বাড়ে, প্রকৃতিনির্ভর সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর। ফলে ওই সময় সারা দেশের পর্যটকদের ঝোঁক থাকে সিলেটে। কিন্তু এবার বন্যা ও কোটা আন্দোলনে পর্যটকদের দেখা মেলেনি সিলেটে। এমনকি বন্যার কারণে ঈদুল আজহায়ও সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ছিল। ফলে গেল তিন মাস ধরে সিলেটের বেশিরভাগ হোটেল পর্যটকশূন্য রয়েছে।

সিলেট বাংলা ট্যুর এন্ড ট্যুরিজমের স্বত্তাধিকারী ও সিলেট চেম্বারের পর্যটন সাব কমিটির আহবায়ক হুমায়ুন কবীর লিটন বলেন, সিলেটের পর্যটন এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দফায় দফায় বন্যা, আন্দোলন আর সর্বশেষ কারফিউসহ একের পর এক দুর্যোগ। অনেক পর্যটন ব্যবসায়ীরা ভূর্তুকী দিয়ে চলেছেন গত তিন মাস ধরে। কথায় আছে বসে খেলে ‘রাজার রাজ্যও শেষ হয়ে যায়’। এই অবস্থা হয়েছে সিলেটের পর্যটন ব্যবসায়ীদের। ভরা মওসুমে প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম দুর্যোগ। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের বিশেষ প্রণোদনার কোন বিকল্প নেই।

‘চায়ের রাজ্য’ শ্রীমঙ্গল পর্যটকশূন্য :
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও কারফিউ বলবৎ থাকায় মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গল প্রায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে। এতে লোকসানে পড়েছেন স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
শ্রীমঙ্গল চায়ের রাজ্য হিসেবে পরিচিত। এখানকার সারি সারি চা-বাগানের নয়নাভিরাম দৃশ্য ও দশর্নীয় স্থান মুগ্ধ করে পর্যটকদের। তাই সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে। কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরুর পর শ্রীমঙ্গলে কমতে শুরু করেছিল পর্যটকের সংখ্যা। গত প্রায় ১০ দিনে নতুন করে কোনো পর্যটক আসেননি। আগে যেসব পর্যটক এসেছিলেন তাঁরা ফিরে গেছেন। এখন শ্রীমঙ্গলে পর্যটক নেই বললেই চলে।

বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের শ্রীমঙ্গল শাখার সাধারণ সম্পাদক রাসেল আলম বলেন, দেশের পর্যটকদের পাশাপাশি অনেক বিদেশি পর্যটক বুকিং বাতিল করে দিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতি কথা বিদেশি পর্যটকেরা জানতে পেরেছেন। দূতাবাস থেকে স্ব–স্ব দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এ জন্য বিদেশি পর্যটকেরা ঘুরতে বের হচ্ছেন না। বিদেশ থেকেও কেউ আসছেন না।

রাসেল আলম আরও বলেন, ‘বিদেশি পর্যটকেরা যখন দেশের বাইরে যান, তখন প্রায় তিন-চার মাস আগেই পরিকল্পনা শুরু করেন। আমাদের দেশে হয়তো কিছুদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু বিদেশি অনেক পর্যটকই বাংলাদেশের আসার পরিকল্পনা বাতিল করতে পারেন। শীতের শুরু অর্থাৎ অক্টোবরে দেশি–বিদেশি পর্যটকেরা ঘুরতে বের হন। আর মাত্র কয়েকটি মাস বাকি। পরিস্থিতি যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা কমে যাবে। দেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

পর্যটক কমে যাওয়ায় লোকসানের মুখে আছে অনেক রেস্তোরাঁ। চামুং রেস্টুরেন্টের মালিক তাপস দাশ বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলের অনেক রেস্তোরাঁ পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠেছে। গত ১০ দিন রেস্টুরেন্ট মালিকেরা লোকসানে আছি। দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে পর্যটকেরা শ্রীমঙ্গল না আসায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’

শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সাবেক সভাপতি ও গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের মালিক সেলিম আহমেদ বলেন, ‘গত কয়েক দিন পর্যটক নেই। সব হোটেল রিসোর্ট প্রায় ফাঁকা। দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দূরপাল্লার গাড়ি সঠিক সময়ে না চলা, ট্রেন বন্ধ থাকা ও কারফিউ জারি থাকায় পর্যটকেরা আসছেন না। অনেকে এই পরিস্থিতিতে নিজস্ব গাড়ি বের করতে বা পরিবার নিয়ে ঘুরতে সাহস পাচ্ছেন না।’

সেলিম আহমেদ জানান, অনেকে ফেসবুকে প্রচারণা ও মার্কেটিং করেন। ইন্টারনেট পুরোপুরি সচল না থাকায় কার্যক্রম প্রায় বন্ধ। এ ভাবে চললে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, সিলেটবাসীর ভাগ্য খুব খারাপ। ২০২০-২১ সাল গেল করোনায়। স্থবির হয়ে যায় সবকিছু। ২৩ সালে ঘুরে দাঁড়ানোর একটু চেষ্টা ছিল, কিন্তু ২০২৪ সালের দফায় দফায় বন্যা ও আন্দোলনে সব শেষ হয়ে গেছে। ঈদের পর থেকে সিলেটের পর্যটন খাতের ব্যবসা খুবই কঠিন সময় পার করছে। বন্যা ও আন্দোলনের কারণে সিলেট বিভাগে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এই খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সরকারি প্রণোদনার প্রয়োজন।

শাবির প্রধান ফটককে ‘শহীদ রুদ্র তোরণ’ ঘোষণা শিক্ষার্থীদের


আপডেট: ১০:০৩:৩৪, ২৬ জুলাই ২০২৪, শুক্র বার
শাবির প্রধান ফটককে ‘শহীদ রুদ্র তোরণ’ ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

জালালাবাদ ডেস্ক : ৯ দফা দাবি আদায়ে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গণসংযোগ, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের জন্য দোয়া শেষে শাবিপ্রবির একদল শিক্ষার্থী ৯দফা দাবিতে গণসংযোগ করে। পরে বেলা ৩টার দিকে প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রধান ফটকের নাম শহীদ রুদ্র তোরণ ঘোষণা দেয়। পরে স্লোগান দিয়ে মিছিল নিয়ে সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় গণসংযোগের জন্য ছড়িয়ে পড়ে।

রুদ্র সেন গত ১৮ তারিখ সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের ধাওয়ার পর আখালিয়া এলাকায় একটি খাল পার হতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যান। বিশ্ববিদ্যালয় গেটে অবস্থানকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী আসাদুল্লাহ আল-গালিব বলেন, আমাদের সাংবিধানিক আন্দোলনে সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে ডিজিটাল ক্রাকডাউনের মাধ্যমে গোটা দেশে ধংসাত্মক নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আজকে এই আন্দোলন কোটা সংস্কারের আন্দোলন নয়, এই আন্দোলন নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলন।

তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রত্যেক শহীদের, প্রত্যেক আহতের হিসাব দেওয়া হচ্ছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে না নেওয়া হচ্ছে, আমাদের যাদেরকে গুম করা হয়েছে তাদেরকে ফিরিয়ে না দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।

শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি শুরুর আগেই বিশ্ববিদ্যালয় গেটের প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ভেতরে পুলিশ অবস্থান নিয়ে ছিল। প্রায় ৩০ মিনিট কর্মসূচি পালন শেষে শিক্ষার্থীরা ফিরে যান। এ সময় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

বিজিবির নিরাপত্তায় সিলেটসহ ৪ গন্তব্যে তেলবাহী ৪ ট্রেন


আপডেট: ১০:০০:৪৯, ২৬ জুলাই ২০২৪, শুক্র বার
বিজিবির নিরাপত্তায় সিলেটসহ ৪ গন্তব্যে তেলবাহী ৪ ট্রেন

জালালাবাদ ডেস্ক : কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে চারটি তেলবাহী ওয়াগন ঢাকা, সিলেট, দোহাজারী এবং হাটহাজারীর উদ্দেশে রওনা হয়েছে।শুক্রবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গার জ্বালানি তেলের প্রধান স্থাপনা থেকে পৃথক পৃথক সময়ে ট্রেনগুলো রওনা হয়।বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে তেলবাহী ট্রেনগুলো নিয়ে রওনা হয়।
এছাড়া রংপুর ও শ্রীমঙ্গলে রওনা হওয়ার জন্য চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ডিপোতে অপেক্ষায় আছে আরও দুটি তেলবাহী ওয়াগন।রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ২৪টি তেলবাহী ওয়াগন নিয়ে একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এছাড়া ১৬টি তেলবাহী ওয়াগন নিয়ে আরও একটি ট্রেন সকাল সাড়ে ৬টায় সিলেটের উদ্দেশে রওনা হয়।সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী ওয়াগন নিয়ে একটি ট্রেন চট্টগ্রামের দোহাজারী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্দেশে এবং ১১টায় ১২টি তেলবাহী ওয়াগন নিয়ে আরও একটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশে চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়।

চট্টগ্রাম-৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জ্বালানি তেলবাহী প্রতিটি ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে বিজিবির এক প্লাটুন সদস্য।

যোগাযোগ করা হলে যমুনা অয়েল কোম্পানির উপমহাব্যবস্থাপক (টার্মিনাল) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বেশ কয়েকদিন তেলবাহী রেল ওয়াগন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। এখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে জ্বালানি তেল পরিবহন শুরু হয়েছে।’ যমুনা অয়েলের পতেঙ্গা ডিপো থেকে রংপুর ও শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশে যাওয়ার জন্য আরও দুটি তেলবাহী ট্রেন অপেক্ষায় আছে বলে জানান তিনি।

ঢালাওভাবে মামলা-গ্রেপ্তার বন্ধের দাবি সুজনের


আপডেট: ৯:৫৮:৫৬, ২৬ জুলাই ২০২৪, শুক্র বার
ঢালাওভাবে মামলা-গ্রেপ্তার বন্ধের দাবি সুজনের


জালালাবাদ ডেস্ক : ঢালাওভাবে মামলা ও গ্রেপ্তার বন্ধের দাবি জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। এছাড়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিও জানিয়েছে সংস্থাটি। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানায় সুজন।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার সংস্কারের লক্ষ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জের ধরে সৃষ্ট অচলাবস্থা এখনও নিরসন হয়নি। সহিংতায় মৃত্যুর সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহতের সংখ্যা দু’শ ছাড়িয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া, স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের ফলে এত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা মনে করি। এতে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসনের ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। কোনো স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে এত প্রাণহানি কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। প্রত্যেকটি প্রাণই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কিছুর বিনিময়ে তা পূরণ হবার নয়।

আমরা নিরপেক্ষ ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিশন গঠন করে প্রত্যেকটি হত্যার নির্মোহ তদন্ত করা এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে ঢালাওভাবে মামলা ও গ্রেপ্তার বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে বলা হয়, আন্দোলনের নামে সহিংসতা চালানো এবং সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেয়া কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। তবে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সামর্থ্য ও প্রস্তুতি বাড়ানো দরকার। তবে কিছুটা দেরিতে হলেও আদালতের নির্দেশনা মেনে কোটা পদ্ধতির সংস্কার করায় আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে এ আন্দোলনকে ঘিরে যাতে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের আর নতুন করে হয়রানি না করা হয় এবং বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় সেদিকে দৃষ্টি দেয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করুন: প্রধানমন্ত্রী


আপডেট: ৯:৫৬:১৯, ২৬ জুলাই ২০২৪, শুক্র বার
অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করুন: প্রধানমন্ত্রী

জালালাবাদ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ও শিবির দেশের উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্যই দেশব্যাপী তা-ব চালিয়েছে।

তিনি এই ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে সহায়তা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মেট্রোরেল, বিটিভিসহ বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংসের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এসবের সঙ্গে জড়িত, সারা বাংলাদেশের আনাচকানাচে যে যেখানে আছে, তাদের খুঁজে বের করুন। তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য সহযোগিতা করুন। আমি দেশবাসীর কাছে এই আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সকালে ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুঁজি করে রামপুরার বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে (বিটিভি) চালানো ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপি-জামায়াতের দুর্বৃত্তদের তা-বলীলায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শনের এক দিন পর প্রধানমন্ত্রী বিটিভি ভবন পরিদর্শন করলেন।

সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর সরকারে এসে এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে তাঁর সরকার বিটিভির প্রভূত উন্নয়ন ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, আজকে এত বছর পর এসে দেখা গেল, সেই ’৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর যে নারকীয় তাণ্ডব, তারই যেন একটা বীভৎস রূপ বাংলার মানুষ দেখছে।

প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালে তথাকথিত আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের তা-বলীলা ও ধ্বংসযজ্ঞে ৩ হাজার ৮০০ যানবাহন, ২৮টি ট্রেন ও ট্রেনের বগি, লঞ্চ ও সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুঁজি করে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হলো।

সিলেটে কারফিউর ৭ম দিন : ছন্দে ফিরেনি, ভয়ও কাটেনি


আপডেট: ৯:৫৩:০৫, ২৬ জুলাই ২০২৪, শুক্র বার
সিলেটে কারফিউর ৭ম দিন : ছন্দে ফিরেনি, ভয়ও কাটেনি


স্টাফ রিপোর্টার : গত কয়েক দিনের অস্থিতিশীল পরিবেশ কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে মরিয়া সাধারণ মানুষ। শুক্রবার কারফিউ জারির সপ্তম দিনে সিলেটে শিথিলের সময়সীমা তিন ঘণ্টা বাড়িয়ে করা হয়েছে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৮টা পর্যন্ত। তবুও যেন ছন্দে ফিরছেনা নগর।

কারফিউ শিথিলের সুযোগে নগরের ফুটপাত থেকে শুরু করে খুলেছে অধিকাংশ মার্কেটের দোকানপাট। যদিও ক্রেতার আনাগোনা একেবারেই কম। যে কারণে অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় মানুষের আনাগোনা ছিলোনা বললেই চলে।

তবে নগরের মোড়ে মোড়ে ছিলো পুলিশ, বিজিবির কড়া অবস্থান। বিশেষ করে জুমআ’র নামায পড়ে যাতে কেউ মিছিল নিয়ে বের হতে না পারেন সে ব্যাপারে পুলিশের তৎপরতা ছিলো চোখে পড়ার মতো। এ নিয়ে পথচারী ও নগরবাসীর মাঝে ভয়ও কাজ করে। অনেকে বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, আম্বরখানার মসজিদগুলো এড়িয়ে চলেন। তাই গলি ও পাড়ার মসজিদগুলোতে মুসল্লির ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।

ফুটপাতে কাপড় ব্যবসায়ী আসিফ খান বেলা ১টার দিকে বলেন, বাসায় বসে থাকতে থাকতে একঘেয়েমি চলে এসেছে। তাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এসে দোকান খুলেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিক্রি হয়নি। বিকেলের দিকে বন্ধ করে বাসায় চলে যাব।

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আজ যে বিক্রি হবে না এটা জেনেই এসেছি। মূলত দোকানের মালামাল কেমন আছে, কিছু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কি না, ইঁদুর বা অন্য কিছু ঢুকে কাপড় নষ্ট করে ফেলছে কি না, সেসব দেখতে এসেছি। তবে শিথিলের সময়সীমা আরও বাড়ানোর দাবি তার।

অপর কাপড়ের দোকানি বলেন, আজকেই প্রথম খুলছি। জুমার নামাজ পড়ে আসছি। কর্মচারীদের আসতে নিষেধ করেছি। কোনো ক্রেতা নেই। সবার মধ্যে ভয়। কেউ ভয়ে কেনাকাটা করতে আসছে না।

এদিকে সংখ্যায় কম হলেও শঙ্কা কাটিয়ে নিত্যপণ্যের মার্কেটগুলোতে আসছেন ক্রেতারা। সেরে নিচ্ছেন নিজেদের জরুরি কেনাকাটা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে কাল রোববার থেকে মার্কেটগুলো আবারও জমে উঠবে বলে আশা ক্রেতা-বিক্রেতার।

নগরবাসীর জীবনযাত্রা ও ব্যবসা বাণিজ্যও অনেকটাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিকতার উপর নির্ভর করে। এই শিক্ষার্থীদের উপর নির্ভর করেই অনেকের সংসার চলে। চলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। হঠাৎই এমন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নগরীর ছোট ছোট দোকানি থেকে শুরু করে সকল ব্যবসায়ীরাই বিপাকে পড়েছেন। কারণ তাদের সিংহভাগ ক্রেতাই এখন শহরে নেই।

সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী সমিতির এক নেতা বলেন, কারফিউ শিথিল করা হলেও মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করছে। কর্মচারীদের চালানো দায় হয়ে গেছে। কোটা আন্দোলনের কমপ্লিট শাটডাউন থেকে দোকানপাট বন্ধ। দুই দিন ধরে দোকানপাট খোলা হলেও ক্রেতা নেই।

তিনি বলেন, নগরে সাড়ে সাত হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কর্মচারীর বেতন, নানা বিলের পরও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আছেন ঋণের চাপে। তাদের মাথার ওপর কিস্তির খড়্গ। আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসায়ী এ নেতা বলেন, যাদের দেড়-দুই লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হতো, তারা ১০ হাজার টাকার পণ্যও বিক্রি করতে পারছেন না। সিলেটে জুলাই-আগস্টে প্রবাসীরা বেশি দেশে আসেন। কিন্তু এবার বৈরী পরিস্থিতির কারণে প্রবাসীরাও আসছেন না। এটিও ক্ষতির আরেকটি বড় কারণ।

এদিকে, কারফিউ শিথিলে স্বল্প ও দূরপাল্লার যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে কদমতলী ও কুমারগাঁও বাস টার্মিনালে যাত্রী খরার চিত্র পরিলক্ষিত হয়।হানিফ পরিবহনের এক কর্মকর্তা জানান, আমরা নির্ধারিত সময়ে গাড়ি ছাড়ছি। তবে সব গাড়ির সব সিট পূরণ হচ্ছে না। মানুষের মধ্যে আতংক আছে। সেকারণে স্বাভাবিকের তুলনায় যাত্রী কম।

এদিকে, রাস্তায় ছোট যান চললেও চালকদের মাঝে এখনো আতঙ্ক কাজ করছে। রায়নগরের এক রিকশা চালক বলেন, বড় রাস্তায় যাওনের মতো অবস্থা নাই। পুলিশের গাড়ির হুইসেল শুনলেও ডর লাগে। তার ওপর আবার আর্মিও আসছে। গলিতে যাত্রী নেই। আগে দিনে ৪৫০-৫০০ টাকা ইনকাম করতাম। এখন ১০০ টাকাও হয় না। আর পারা যায়না।

সিলেটের জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক আছে। আবারও স্বাভাবিকতা ফিরতে আনতে প্রশাসন সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে। কোনো ধরনের সহিংসতা ঘটনা যেন না ঘটে, সে লক্ষ্যে পুলিশ সচেষ্ট আছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

এদিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, আজ শনিবারও সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টা শিথিল থাকবে কারফিউ।

দারুল উম্মাহ মসজিদে আব্দুল হক হাবিব স্মরণে দোয়া মাহফিল


আপডেট: ৯:২১:০৪, ২৬ জুলাই ২০২৪, শুক্র বার
দারুল উম্মাহ মসজিদে আব্দুল হক হাবিব স্মরণে দোয়া মাহফিল

চ্যারিটি সংস্থা ইক্বরা ইন্টারন্যাশনালের সাবেক চেয়ারম্যান ও লন্ডন ট্রেনিং সেন্টারের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আব্দুল হক হাবিবের ইন্তেকালে দারুল উম্মাহ মসজিদে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৪ জুলাই) দাওয়াতুল ইসলাম ইয়থ গ্রুপের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় সেবা সংগঠক আব্দুল হক হাবিবের স্মৃতিচারণ করেন ইকরা ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস-উন-নুর, দাওয়াতুল ইসলাম ইউকে এন্ড আয়ারের আমীর শায়েখ হাফিজ আবু সাঈদ, বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ইউকের সভাপতি কে এম আবু তাহের চৌধুরী, দারুল উম্মাহ মসজিদের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আহমদ এ মালিক, দাওয়াতুল ইসলামের সহ-সভাপতি হাসান মঈন উদ্দিন, দাওয়াতুল ইসলামের সাবেক সেক্রেটারি সাব্বির আহমদ কাওসার, বায়তুল আমান মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মালিক, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ, দাওয়াতুল ইসলামের ভাইস প্রেসিডেন্ট আরমান আলী, দাওয়াতুল ইসলামের সাবেক ইয়থ সেক্রেটারি ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ রফিকুল ইসলাম, ইকরা ইন্টারন্যাশনাল এর সেক্রেটারি শাহ রেদওয়ানুর রহমান, মরহুমের বড় ভাই মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

ব্যারিস্টার আকসার হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দারুল উম্মাহ মসজিদের খতিব মাওলানা কাজী আশিকুর রহমান। সভায় সংগঠক রফিকুল হকের লেখা পড়ে শোনানো হয়। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাসন, ইকরার সাবেক সেক্রেটারি সাংবাদিক বদরুজ্জামান বাবুল, ইকরার ট্রাস্টি সংগঠক আব্দুল লতিফ, সাংবাদিক সাদিকুল আমিন-সহ কমিউনিটি নেতৃবন্দ এবং মরহুমের ছেলে-মেয়ে ও আত্মীয় স্বজন।

সভায় উপস্থিত সকলে মরহুম আব্দুল হক হাবিবের জীবনের মহৎ কর্মসমূহ তুলে ধরে বলেন, তিনি একজন বিনয়ী ও সদালাপী এবং সমাজসেবায় নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। চ্যারিটি সংস্থা ইকরা ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।

বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের সাহবাজপুর গ্রাম নিবাসী লন্ডন প্রবাসী আব্দুল হক হাবিব ব্রিকলেন মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম হাফেজ আব্দুল মান্নান এর পুত্র। তিনি শাহবাজপুর উইমেন এডুকেশন ট্রাস্ট, বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্ট, দশঘর ইউনিয়ন প্রগতি ট্রাস্ট-সহ বিভিন্ন সেবামূলক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। শনিবার (২০ জুলাই) মহান মাবুদের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেছেন আব্দুল হক হাবিব। সভায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি

 

বাংলাদেশের জনগণ যে সহিংসতার শিকার হয়েছে তাতে আমরা হতবাক: কানাডা


আপডেট: ৯:১৮:৫৮, ২৬ জুলাই ২০২৪, শুক্র বার
বাংলাদেশের জনগণ যে সহিংসতার শিকার হয়েছে তাতে আমরা হতবাক: কানাডা

জালালাবাদ ডেস্ক: গত সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালীন বাংলাদেশের জনগণ যে সহিংসতার শিকার হয়েছে তাতে হতবাক কানাডা। বৃহস্পতিবার ঢাকাতে অবস্থিত দেশটির হাইকমিশন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে (আগের টুইটার) কানাডার হাইকমিশন এক বিবৃতিতে লিখেছে, গত সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালীন বাংলাদেশের জনগণ যে সহিংসতার শিকার হয়েছে তাতে আমরা হতবাক। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মানের পক্ষে কথা বলি। সেজন্য ভিকটিম এবং তাদের পরিবার এবং প্রভাবিত সকলে আমাদের ভাবনায় রয়েছেন।

বাক এবং সমাবেশের স্বাধীনতা বজায় রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা অনতিবিলম্বে ইন্টারনেট পরিষেবাগুলো সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করার আহ্বান জানাই যাতে মানুষ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারেন এবং কানাডা ও বিশ্বব্যাপী তাদের প্রিয়জনদের সাথে সংযুক্ত হতে পারেন।

কানাডা বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা অব্যাহত রাখবে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়ঃ বিচার ব্যবস্থাকে অবশ্যই গ্রেফতারকৃত সকলের জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে এবং এই দুঃখজনক ঘটনার জন্য দায়ীদের জবাবদিহি করতে হবে।

বাহরাইনে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের দোয়া মাহফিল


আপডেট: ৯:১৭:০০, ২৬ জুলাই ২০২৪, শুক্র বার
বাহরাইনে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের দোয়া মাহফিল


বাহরাইন প্রতিনিধি: সিলেটের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য দোয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তি পেতে জালালাবাদ এসোসিয়েশন বাহরাইনের আয়োজনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী মানামা কুক মেইল রেস্টুরেন্টে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ কায়েস আহমেদের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটি বাহরাইনের সহ সভাপতি মাজহারুল হক নয়ন। বিশেষ অতিথি ছিলেন. রজব আলী, আব্দুল আসিদ বাছিদ, অনকুল, নজরুল ইসলাম নাহিদ, মোস্তফা আহমেদ, সম্রাট নজরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সারোয়ার হোসেন, শফিকুল ইসলাম শফিক, আব্দুল হাই রিপন, শামীম আহমেদ ওলি, মির্জা ফারুক, অলিউর রহমান, লিমন আহমেদ, এম রেজান আহমেদ, জগলু আহমেদ, টিপু সুলতান প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রুহুল আমিন ইজ্জাদ, আব্দুল করিম, আবুল কালাম আজাদ, শওকত মিয়া, রুজেল, সুলতান, শাহিন আল মামুন, শাফি, খয়রুল ইসলাম, আব্দুল আহাদ, আব্দুল মতিন, লয়লু মিয়া, মিজানুর রহমান।

কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে সিলেটেও দোয়া


আপডেট: ৯:১১:১৯, ২৬ জুলাই ২০২৪, শুক্র বার
কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে সিলেটেও দোয়া

স্টাফ রিপোর্টার : সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী নিহতদের স্মরণে সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাহফিলে নিহতদের মাগফেরাতেকর পাশাপাশি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়।

শুক্রবার হযরত শাহজালাল (র.) মাজার মসজিদসহ নগরীর বিভিন্ন মসজিদে হাজার হাজার মুসল্লী অংশ নেন। এসব মসজিদে নিহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।উল্লেখ্য- কোটা আন্দোলন নিয়ে সিলেটসহ সারাদেশে ২ শতাধিক মানুষ নিহত হন। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ।

এদিকে কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে সরকারের পক্ষ থেকে শুক্রবার বাদ জুমআ দেশব্যাপী বিশেষ দোয়া মাহফিল পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। একই দিনে একই সময়ে নিহতদের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দেশব্যাপী দোয়া মাহফিলের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

নগরে গ্রেফতার দাঁড়ালো ১৩৫-এ


আপডেট: ৯:১০:৩৩, ২৬ জুলাই ২০২৪, শুক্র বার
নগরে গ্রেফতার দাঁড়ালো ১৩৫-এ

স্টাফ রিপোর্টার : কোটা আন্দোলন কেন্দ্রিক সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় নগর এলাকা থেকে আরো ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এসএমপিতে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৫ জনে। গ্রেফতারকৃতদের অধিকাংশই বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট।

কোটা আন্দোলন নিয়ে পুলিশের সাথে সংঘাত সংঘর্ষের ঘটনায় সিলেট নগরীর ৩টি থানায় ১০টি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এসব মামলায় ২০০ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে ১৬ হাজার মানুষকে। এসব মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার চলছে। গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে গেছেন অনেকেই।

সাংবাদিক তুরাব হত্যা : জিডিমূলেই তদন্ত হচ্ছে ভাইয়ের দায়েরকৃত অভিযোগ


আপডেট: ৯:০৯:১৫, ২৬ জুলাই ২০২৪, শুক্র বার
সাংবাদিক তুরাব হত্যা : জিডিমূলেই তদন্ত হচ্ছে ভাইয়ের দায়েরকৃত অভিযোগ


স্টাফ রিপোর্টার : নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় পুলিশের গুলীতে নিহত দৈনিক জালালাবাদ এর স্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট প্রতিনিধি এটিএম তুরাব হত্যার ঘটনায় পরিবার কর্তৃক থানায় দাখিল করা অভিযোগকে জিডিমূলে তদন্ত করছে পুলিশ।

এই ঘটনায় আগেই পুলিশের পক্ষ থেকেও পৃথক একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। একই ঘটনায় দুটি মামলা নেয়া যায়না বলে দৈনিক জালালাবাদকে জানিয়েছেন কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দিন শিপন। তাই পুলিশের দায়ের করা মামলার সাথে পরিবারের জিডিকে একীভুত করে একজন তদন্ত কর্মকর্তা মামলার তদন্ত করছেন।

তিনি জানান, কোতোয়ালী থানার এস আই আব্দুল আলিম পুলিশের দায়ের করা মামলা ও নিহত সাংবাদিক তুরাবের বড় ভাই আবুল আহসান মো: আজরফ (জাবুর আহমদ) এর দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত করছেন।

প্রসঙ্গত- গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) জুমার নামাজের পর কোটা আন্দোলন ইস্যুতে নগরের কোর্টপয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি। মিছিলটি জিন্দাবাজার অভিমুখে যাওয়ার পথে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। তখন এসএমপির সহকারী কমিশনার গোলাম মোহাম্মদ দস্তগীরের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা পেছন থেকে মিছিলে টিয়ারশেল ও গুলি ছুঁড়েন। এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের ছররা গুলিতে গুরুতর আহত হন সাংবাদিক এটিএম তুরাব। গুরুতর অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে জরুরী ভিত্তিতে তাকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ঐদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪৪ মিনিটের সময় তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। রাতেই তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবার ও সহকর্মীদের কাছে হস্তান্তর করা হলে বেলা ২টায় নগরীর মানিকপীর (র.) মাজার সংলগ্ন এলাকায় তার প্রথম জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ী বিয়ানীবাজার পৌর এলাকার ফতেহপুরে নেওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্তানে তাকে দাফন করা হয়।

এদিকে পুলিশের গুলীতে নিহত সাংবাদিক এটিএম তুরাবের খুনীদের বিচারের দাবীতে উদ্যোগে রোববার (২১ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সিলেটের সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বশীল ৭টি সংগঠন- সিলেট প্রেসক্লাব, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব, ওভারসীজ করেসপনডেন্ট এসোসিয়েশন সিলেট (ওকাস), ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা), বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি ও ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট এর যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়। সোমবার (২২ জুলাই) সিলেট প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে নগরীর কালেক্টরেট জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশে^র বিভিন্ন দেশে সাংবাদিক তুরাব হত্যার বিচারের দাবীতে পৃথক কর্মসূচী পালিত হয়ে আসছে।

এদিকে সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যার বিচার চেয়ে গত বুধবার (২৪ জুলাই) রাতে এসএমপির কোতোয়ালী থানায় সিলেটের প্রতিনিধিত্বশীল সাংবাদিক সংগঠন নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে নিহত সাংবাদিক তুরাবের বড় ভাই আবুল আহসান মো: আজরফ (জাবুর আহমদ) একটি লিখিত এজাহার দাখিল করেন। এজাহারটি গ্রহণ করেন এসএমপির উপপুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ ও কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন শিপন। এজাহারে ১০ অজ্ঞাত পুলিশকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে পুলিশ এজাহারটিকে জিডি হিসেবে রেকর্ড করে।

এসএমপির উপপুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ শুক্রবার রাতে দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, সাংবাদিক এটিএম তুরাব নিহতের ঘটনায় পুলিশ আগেই একটি মামলা দায়ের করেছে। সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সাংবাদিক এটিএম তুরাবের ভাইয়ের দায়ের করা এজাহারটি জিডিমূলে রেকর্ড করা হলেও পুলিশের দায়েরকৃত মামলার সাথে একীভুত করে তদন্ত চলছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।