যাত্রী ছাউনির পেছনে মিলল গৃহশিক্ষকের রক্তাক্ত মরদেহ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ৭:৫৩:০৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ক্ষত বিক্ষত চোখ-মুখ। মাথায়ও আঘাতের চিহ্ন। বিবস্ত্র অবস্থায় পড়েছিল মরদেহ। এমন নিশৃংসভাবে হত্যার পর গৃহশিক্ষক মুক্তার আহমদের মরদেহ রাস্তা সংলগ্ন যাত্রী ছাউনির পেছনে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। রোববার সকালে সিলেট-তামাবিল সড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার দিঘীরপার যাত্রী ছাউনির পেছনে বিবস্ত্র অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
নিহত মুক্তার আহমদ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ডের তেলিজুরী গ্রামের রহমত উল্লাহর ছেলে। তিনি পেশায় গৃহশিক্ষক ছিলেন।
দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বলেন, মুক্তার গৃহশিক্ষক ছিলেন। কে বা কারা তাকে রাতের আধারে নৃশংসভাবে হত্যা করে মরদেহ যাত্রী ছাউনির পেছনে ফেলে যায়।
নিহতের বাবা রহমত উল্লাহ জানান, শনিবার মাগরিবের নামাজ পড়ে মুক্তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাতে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ভেবেছিলেন, হয়তো খেলা দেখতে কোথাও দেরি করছে। কিন্তু সকালে খবর পাই মুক্তারের মরদেহ রাস্তার পাশে পড়ে আছে।
তিনি আরো বলেন, তাদের প্রতিবেশির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ও জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। সেই বিরোধ থেকে ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কয়েকজনকে সন্দেহ করছেন তিনি।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর বলেন, বেলা পৌনে ১২টার দিকে আলামত সংগ্রহ ও মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।