হোটেল কক্ষ থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:৩৯:৩৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ সুরমার মোমিনখলা বাইপাস এলাকার নিউ শাপলা আবাসিক হোটেলের দ্বিতীয় তলার ১০৫নং কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ওই তরুণীর নাম নিলিমা বেগম লিলি (১৯)। তিনি ওসমানীনগর উপজেলার দলিয়ারবন গ্রামের মো. নুরুল হকের মেয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুরমা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার চৌধুরী বলেন, হোটেলের কক্ষ থেকে লাশ উদ্ধার করা হলেও মালিক-পরিচালনাকারী কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে হোটেলটি বাইরে থেকে পুলিশ তালাবদ্ধ করে রেখেছে।
পুলিশ জানায়, সকালে একটি নম্বর থেকে ফোন করে হোটেলে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ রয়েছে বলে জানানো হয়। খবর পেয়ে মোমিনখলা বাইপাস এলাকার নিউ শাপলা আবাসিক হোটেলে যায় পুলিশ। এ সময় হোটেলের কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া যে মুঠোফোন থেকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছিলো, সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়। ওই হোটেলের দ্বিতীয় তলার ১০৫নং কক্ষে ভেতর থেকে দরজা আটকানো ছিলো। একপর্যায়ে দরজা ভেঙে কক্ষে ঝুুলন্ত অবস্থায় নিলিমা বেগম লিলি’র লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, নিহত তরুণীর শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ওই তরুণী হোটেলে কবে উঠেছিলেন, সেটি প্রাথমিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি। যিনি মুঠোফোনে লাশের ব্যাপারে জানিয়েছিলেন, সেটিও বন্ধ। এসব বিষয় নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
ওসি আরো বলেন, লিলি শাপলা আবাসিক হোটেলের পরিচালক জহির মিয়ার সাবেক স্ত্রী। অনেকদিন ছাড়াছাড়ি হয়েছে। তবে জহিরের সঙ্গে লিলি’র যোগাযোগ বা মেলামেশা ছিলো।
এ দিকে নিলীমা বেগম লিলি মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধু¤্রজাল। পুলিশও ঘটনাটি নিয়ে ধুয়াশায় মধ্যে রয়েছে। স্বাভাবিক না রহস্যজনক মৃত্যু তা এখনো বলতে পারছে না তারা। অন্যদিকে হোটেলের পরিচালক ও নিহতের সাবেক স্বামী জহির মিয়া ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শাপলা আবাসিক হোটেলে নারীদের দিয়ে দেহব্যবসা করানো হতো। কয়েকবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে অবৈধ কাজে থাকাবস্থায় নারী-পুরুষকে গ্রেফতারও করে। এরপরও থামেনি এই হোটেলে অনৈতিক কার্যক্রম। হয়তো অনৈতিক কাজের জের ধরেই এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে, এমনটি মন্তব্য স্থানীয়দের।