সিলেটি নাটকের অভিনেত্রী খুন : ‘হেভিচ্যুয়াল ক্রাইমার সজীব’
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:০০:৩০ অপরাহ্ন
রক্তমাখা প্যান্ট উদ্ধার, রিমান্ডে পুলিশকে বিভ্রান্ত
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটি নাটকের অভিনেত্রী ও টিকটকার সোনিয়া আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন বাথরুম থেকে অভিযুক্ত সজীবের রক্তমাখা প্যান্ট উদ্ধার হয়। ইতোমধ্যে র্যাব তাকে গ্রেফতার করেছে। তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
রিমান্ডে থাকা সজীব প্রথম দিন পুলিশী জেরার মুখে নানাভাবে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা চালিয়েছে। এ সময় সে পুলিশকে বিভ্রান্তও করছে। সোনিয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে সজীব মুখ খুলছে না। তবে, তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত তদন্তে যেসব তথ্য এসেছে সবই সজীবকে ঘিরে। ঘটনার ৭ দিন আগে থেকে সজীব তার ফুফাতো বোন সোনিয়াদের বাসায় ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, সজীব হচ্ছে ‘হেভিচ্যুয়াল ক্রাইমার’। এর আগে সে ঢাকায় একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে। মুক্তিপণের দাবিতে শিশু অপহরণ মামলার আসামি হয়ে সে জেলও খেটেছে। আচরণগত অপরাধী হওয়ার কারণে সে সোনিয়া হত্যা মামলা থেকে নিজেকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কাহের জানান, রিমান্ডে থাকা সজীবের কাছ থেকে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে সেগুলো আপাতত বলছি না। তবে, বাথরুম থেকে উদ্ধার হওয়া প্যান্টটি সজীবের। এ ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
ওসি কাহের আরো জানান, খুনের আগে সোনিয়াকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা- সেটি আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। মেডিকেল রিপোর্ট সেটি বলতে পারবে। তবে আমরা ধর্ষণের ব্যাপারেও ডাক্তারের মতামত চেয়েছি। দেখি রিপোর্ট কি আসে।’
গত রোববার সিলেট নগরীর খুলিয়ারা আবাসিক এলাকার বাসার শয়নকক্ষ থেকে সিলেটি নাটকের অভিনেত্রী ও টিকটকার সোনিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার নিহত সোনিয়ার ভাই পারভেজ আহমদ তারই মামাতো ভাই সজীবকে প্রধান আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। নিহত সোনিয়া সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কলাছড়া গ্রামের বিল্লাল আহমদের মেয়ে ও দক্ষিণ সুরমার একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলো সজীব। এর দু’দিনের মাথায় ঢাকা থেকে সজীবকে গ্রেফতার করে র্যাব-৯।
নিহত সোনিয়ার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সজীব ঢাকায় থাকতো। প্রায় সময় তাদের বাসায় আসতো। পরিবারের সদস্য হিসেবে তাকে কেউ কখনো সন্দেহ করেনি। তবে- ঢাকায় তার অপরাধের কথা জানতেন সবাই।
তারা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সজীব, সোনিয়া ও তাদের ভাবীকে বাসায় রেখে পরিবারের অন্য সদস্যরা বাইরে চলে গিয়েছিলেন। এরপর ওইদিন দুপুরে শয়নকক্ষে সোনিয়ার গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।