জগন্নাথপুরে বিনামূল্যে সার বিতরণ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুন ২০২৩, ৬:১৪:২১ অপরাহ্ন
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলাসহ প্রতিটি উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার অধিক বোরো ফলন ও বাড়তি ফসল ডেমি ধান পাওয়ায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং কৃষকসহ সকল পেশার মানুষ অনেক খুশি হয়েছেন। বাম্পার ধান পেয়ে হাওরাঞ্চলের প্রতিটি ঘরে বর্তমানে রীতিমতো আনন্দ-উৎসব চলছে। মানুষের সেই আনন্দ ধরে রাখতে ও বোরোর পর এখন আউশের বাম্পার ফসল উৎপাদনের লক্ষে কৃষি বিপ্লব ঘটাতে নানামুখি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
এরই অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসকের কল্যাণ তহবিলের অর্থায়নে আউশ আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের উৎসাহিত করতে জগন্নাথপুর উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিস প্রাঙ্গণে সার বিতরণ উদ্বোধন করেন এবং প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাজেদুল ইসলাম।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জগন্নাথপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম মোখলেছুর রহমান। এ সময় জগন্নাথপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান মিয়া, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাজন আকন্দ, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা তপন চন্দ শীলসহ উপজেলার সকল ইউনিয়নের সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ ও উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সুবিধাভোগী কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। এতে জনপ্রতি ২০ কেজি করে ১৫০ জন দরিদ্র প্রান্তিক কৃষকের মাঝে এমওপি ও ডিএপি সার বিতরণ করা হয়।
সার বিতরণ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাজেদুল ইসলাম বলেন, দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলায় এবার ২৬১০ হেক্টর আউশ জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে ১৩৬০ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হওয়ার কথা। তবে এ অঞ্চলে বোরোর তুলনায় আউশ জমির পরিমাণ কম ও অতীতে নানা কারণে ফলন কম পাওয়ায় কৃষকদের আউশ আবাদে আগ্রহ কমে গেছে। তাই সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদান সহ মাঠে-ময়দানে গিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আউশ আবাদে কৃষকদের আমরা উৎসাহিত করছি।