দিরাইয়ে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১, আহত ১০
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ৮:৪১:৫৩ অপরাহ্ন
দিরাই প্রতিনিধি: একদিনের ব্যবধানে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আবারো দুই গ্রুপের বন্দুক যুদ্ধে ১ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। নিহতের নাম দুলাল মিয়া (৪৫), তিনি উপজেলার পুকিডহর গ্রামের আমিন উদ্দিনের ছেলে।বুধবার সকাল এগারোটায় জমিজমা ও গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে পুকিডর গ্রামের হোসেন খান ও আরজু খানের গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই আরজু খানের পক্ষের দুলাল মিয়া নিহত হন। দুই পক্ষে আরো দশ জন আহত হন। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। একদিনের ব্যবধানে বড় দুটি সংঘর্ষ ও গুলাগুলির ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে দিরাই’র সচেতন মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন দিন দিন দিরাই’র পূর্বাঞ্চল ক্রাইম জোনে পরিণত হচ্ছে।
দিরাই থানা পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গ্রামের আধিপত্য বিস্তার ও জমিজমা দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুপক্ষের বিরোধ রয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে একাধিকবার সংঘর্ষ ও গুলাগুলিতে লিপ্ত হয় দুই পক্ষের লোকেরা। আদালতে দুই গ্রুপের ডজনখানেক মামলা রয়েছে। বুধবার সকাল এগারোটায় দুই পক্ষের লোকেরা পূর্ব পরিকল্পনা নিয়ে সশস্ত্র হামলা ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। স্থানীয়রা জানান, দুই গ্রুপের পক্ষেই গুলাগুলি হয়। গুলিতে ঘটনাস্থলেই আরজু খানের পক্ষের দুলাল মিয়া মারা যায়। এ সময় দুই পক্ষের আরো কমপক্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন, রুপ মিয়া (৪২), মিল্লাদ হোসেন (২০), বদরুল্লা (৬০) ও আইয়াত উল্লা (২৪)।
আহতদের দিরাই উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রায়হান উদ্দিন বলেন, আহতদের কয়েকজন গুলিবিদ্ধ ছিল। আশংকাজনক অবস্থায় তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সংঘর্ষের বিষয়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষের লোকদের দায়ী করে বক্তব্য দিচ্ছে।
এ বিষয়ে জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাবলু বলেন, পুকিডর গ্রামের দুই গ্রুপের মাঝে বন্দুক যুদ্ধে একজন নিহত হয়। নিহত দুলাল মিয়া আরজু খানের লোক। পূর্ব বিরোধেই এই সংঘর্ষ ও গুলাগুলি হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহতের সত্যতা নিশ্চিত করে দিরাই থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী মুক্তাদির হোসেন দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, খবর পেয়ে সাথে সাথে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দিরাই সার্কেল) শহিদুল ইসলাম মুন্সিসহ আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিহতের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, আগের দিন মঙ্গলবার দুপুরে দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের রাড়ইল গ্রামের দুপক্ষের বন্দুক যুদ্ধে ১৮ জন গুলিবিদ্ধ সহ ২৫ জন আহত হয়। এ ঘটনায় দুইদিনেও কোন মামলা বা গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি। তবে একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া এ বছরই জগদল ইউনিয়নের জগদল ও রাজনাও গ্রামে আরো দুটি আলোচিত খুনের ঘটনা ঘটনা ঘটেছে।