৪র্থ ধাপের অবরোধের শেষ দিন নগরে ঢিলেঢালা : বন্ধ দূরপাল্লার বাস
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ৮:২৯:৫৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা ৪র্থ ধাপের টানা অবরোধের শেষ দিন সোমবার নগরীতে বেড়েছে যান চলাচল। দিনভর নগরজুড়ে যানজটের চিত্র ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিনও বন্ধ ছিল দূর পাল্লার বাস। কয়েকটি বাসের কাউন্টার খোলা থাকলেও যাত্রী কম থাকায় ছেড়ে যায়নি কোন বাস। সোমবার দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও পুলিশ পাহারায় আন্তঃজেলা রোডে থেমে বাস চলাচল করতে দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় রোববার সকাল ৮টার দিকে সড়কে বাশ ফেলে ও খড়ের মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন অবরোধ সমর্থনকারীরা। এ সময় তারা সরকার বিরোধী নানা শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগেই অবরোধকারীরা সটকে পড়েন।এদিকে সোমবার সকালে নগরীর এয়ারপোর্ট এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দল, আম্বরখানা এলাকায় যুবদল ঝটিকা মিছিল করেছে। এছাড়া সকালে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের শিবগঞ্জ এলাকায় মহানগর জামায়াত মিছিল বের করে। বিকেলে নগরীর নয়াসড়ক এলাকায় সিলেট মহানগর বিএনপি উদ্যোগে ঝটিকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চতুর্থ দফায় অবরোধের শেষ দিন সোমবার সিলেট নগরীতে যানবাহনের অনেক চাপ ছিল। নগরীর মদিনা মার্কেট, আম্বরখানা, বন্দরবাজার, রিকাবীবাজার, সোবহানীঘাট, দক্ষিণ সুরমাসহ সব পয়েন্টে দিনভর ছিল যানজট।
যদিও সিলেট থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। নগরের ভেতরে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, লেগুনা, ব্যক্তিগত যানবাহন ও মোটরসাইকেলে মানুষকে চলাচল করতে দেখা গেছে। মহাসড়কে যানবাহন চলাচল কম থাকায় যাত্রীদের বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে, সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ও সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে র্যাব ও পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে। পাশাপাশি নগরের অভ্যন্তরেও বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের সতর্ক অবস্থান ছিলো।
নগরের কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বাসের কাউন্টারগুলো খোলা থাকলেও কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এতে দূরপাল্লার যাত্রীরা যানবাহন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন। তবে কিছু মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে করে দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।
এসএমপির উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, সোমবার নগরীর কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকালে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। যে কোন বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ তৎপর আছে।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ৪র্থ ধাপেও সর্বাত্মক অবরোধ সফলের মাধ্যমে দেশবাসী সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারের যদি জনদাবীর প্রতি শ্রদ্ধা থাকে তাহলে তারা পদত্যাগ করবে। নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থান পুনর্বহাল করে সকল দলের অংশ গ্রহণে নির্বাচনের আয়োজন করবে। গণতন্ত্রের বিজয় না হওয়া পর্যন্ত জনতার আন্দোলন চলবে।