সিলেটে চলছে আমন তোলার ধুম
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৩০:২৬ অপরাহ্ন
লক্ষ্যমাত্রা ১১ লক্ষ ২৬ হাজার মেট্রিক টন চাল
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটজুড়ে চলছে আমন ধান কাটার ধুম। সোনার ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের অন্তহীন চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে সিলেটের ২৫-৩০ ভাগ ফসল কাটা হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে সব ধান কর্তন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে সিলেটের কৃষি বিভাগ। তবে কোথাও কোথাও পোকার আক্রমণের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কার কথা জানান কৃষকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের ৪ জেলায় এ বছর ৪ লক্ষ ১৫ হাজার ৬০৩ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এ থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ লক্ষ ২৬ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন চাল।এরমধ্যে সিলেট জেলায় চাষ হয়েছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ৯৭১ মেট্রিক টন চাল। সুনামগঞ্জ জেলায় ৮৩ হাজার ৩৬৯ হেক্টর জমি আবাদে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ লক্ষ ৬ হাজার ১৬২ মেট্রিক টন। মৌলভীবাজারে ১ লক্ষ ২ হাজার ১৮০ হেক্টর চাষাবাদে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩ লক্ষ ১ হাজার ৯১৮ মেট্রিক টন। হবিগঞ্জে আমন চাষাবাদ হয়েছে ৮৮ হাজার ৩১৬ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ২ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭০৯ মেট্রিক টন চাল।
এদিকে, প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের আবাদ ভালো হওয়ায় কৃষকদের মধ্যেও স্বস্তি বিরাজ করছে। বৃষ্টিপাতের কারণে যেসব জমিতে একটু পরে রোপন করা হয়েছিল সেগুলোতেও ভালো ধান ফলেছে। অনেক স্থানে পোকার আক্রমণের কথাও জানা গেছে। পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। কৃষক কৃষাণীরা পার করছেন ব্যস্ত সময়। গোয়াইনঘাট উপজেলার কৃষক আব্দুর রহিম জানান, তিনি প্রায় ৩০ কেদার জমি চাষ করেছেন। ধান ভালো হয়েছে। কিছু জমিতে ধান মোটামুটি হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় ধান চাষ থেকে কিছুটা আয় আসতে পারে বলে আশাবাদী তিনি।
সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার কৃষকদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, এবার আমনের ফলন ভালো হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় পোকার আক্রমণে পুরো ফলন নষ্ট হয়েছে। তবে ফসলের উৎপাদন খরচ ও বিক্রির সময়ের দাম নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানান কৃষকরা। তারা জানান, কৃষি শ্রমিক সংকট ও মজুরী বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচ বেড়ে গেছে। অপরদিকে, বিক্রির সময় ধানের দাম পাওয়া যায় না। ধান উৎপাদন করেও লাভের মুখ দেয়া কঠিন হয়ে যায় বলে জানান কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সিলেটের অতিরিক্ত উপপরিচালক মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, রোপা আমনের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকরা ইতিমধ্যে ২০ ভাগ ধান উত্তোলন করেছেন। কৃষকরা ভালো ফলন পাবেন বলে তার আশা। প্রতি উপজেলা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। যেখানেই সমস্যা হচ্ছে সেখানেই তারা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছেন। এখনো ধানের দাম ভালোই আছে। কিছুদিন পরেই সরকারিভাবে ধান সংগ্রহের কাজ শুরু হবে। সরকার প্রতি মণ ১২শ’ টাকা নির্ধারণ করেছেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে কৃষক ধানের ভালো দাম পাবেন।