লোকবল-অবকাঠামো বিহীন শিক্ষা অফিস!
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ৮:১৪:১৬ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট: প্রায় দেড় বছর হলো প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার। গত বছরের ২৪ জুলাই শুরু হওয়া এই উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থাকলেও নেই কোনো লোকবল, নেই অবকাঠামো। এখানে একজন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, দুইজন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, একজন উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক, একজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও একজন অফিস সহায়ক পদে জনবল থাকার কথা থাকলেও শুরু থেকে এখানে একজন কর্মকর্তা কর্মচারীও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ পরিস্থিতিতে দাপ্তরিক কার্যক্রম ও বিদ্যালয়গুলোর পরিদর্শন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। পাশের উপজেলা ধর্মপাশার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা ওই উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। ধর্মপাশা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়েও নেই পর্যাপ্ত জনবল।
ধর্মপাশা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্মপাশা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১১০টি ও মধ্যনগর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ৮৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ধর্মপাশায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে চারজন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, একজন উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক, একজন হিসাব সহকারী ও একজন অফিস সহায়কের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য।
এই দুইটি উপজেলায় জনবল সংকটে দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। কমেছে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম।
মধ্যনগর উপজেলায় অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব পালনকারী সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ (মুকুল) বলেন, মধ্যনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের বিপরীতে জনবল নেই। আমাদের এই উপজেলা থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এতে বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন করতে গিয়ে খুবই সমস্যা হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম।
মধ্যনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ধর্মপাশা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, এই দুইটি উপজেলায় ১৯ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর বিপরীতে আমরা কর্মরত আছি মাত্র ৬ জন। মধ্যনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ছয়টি পদের মধ্যে একজন জনবলও নেই। এতে দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যালয়গুলো নিয়মিত পরিদর্শন করতে না পারায় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে ব্যাঘাত ঘটছে। তবে আমরা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সবরকম চেষ্টা করছি। যাবতীয় বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস বলেন, মধ্যনগর ও ধর্মপাশা উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের জনবল সংকট নিরসনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মধ্যনগরে শিক্ষা অফিসের দাপ্তরিক কার্যক্রম স্থায়ীভাবে চালু করা জরুরী। আমি চেষ্টা করছি। কিছুদিনের মধ্যেই ডিজি স্যার আসবেন। তখন গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি উত্থাপন করবো।