ওসমানী বিমানবন্দর ২৬ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ৭:৫১:২১ অপরাহ্ন
বিমানের টয়লেট ও সীটের নিচে ৩৪ কেজি সোনা
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩৪ কেজি ওজনের সোনার চালান আটক করা হয়েছে। বার ও বল আকারে থাকা এসব সোনা বিমানে যাত্রীদের আসনের নিচে ও টয়লেটের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখা ছিল। উদ্ধার হওয়া সোনার বাজার মূল্য ২৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ তথ্যটি দৈনিক জালালাবাদকে নিশ্চিত করেছেন ওসমানী বিমানবন্দর ও এয়ারফ্রেইট বিভাগের সহকারী কমিশনার মো. সাজেদুল করিম।
শুক্রবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২৪৮ নম্বর ফ্লাইট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে সোনার চালানটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় প্রাথমিকভাবে জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পাঁচজনকে ছেড়ে দিলেও ৪ জনকে আটক দেখানো হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কামালবাজারের মো. সানু মিয়া (৩৫), মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বড়ধামাই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান (৩৮), হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মো. আক্তারুজ্জামান (৪০) ও একই উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মিসফা মিয়া (৪৯)। এ ঘটনায় ধৃতদের বিরুদ্ধে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে দুবাই থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২৪৮ ফ্লাইট সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানটি সিলেটের থেকে ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। তবে গোপন সংবাদ পেয়ে বিমানে অভিযান চালায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা, শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ ও বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ সময় বিমানের যাত্রীরা নিজ নিজ আসনে বসা ছিলেন। বিমানে তল্লাশি করে কয়েকটি আসনের নিচ থেকে স্কচটেপ প্যাঁচানো অবস্থায় সোনার বার উদ্ধার করা হয়। পরে বিমানের টয়লেট তল্লাশি করে লুকিয়ে রাখা আরো সোনার ‘ডিম’ উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে ২৮০ সোনার বার ও ৬টি ডিম আকারের সোনার বল জব্দ করা হয়। সোনার বারগুলোর ওজন ৩২ কেজি ৬৪৮ গ্রাম এবং বলগুলোর ওজন দেড় কেজির বেশি। পরে এ ঘটনায় ৯ যাত্রীকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। তারা সকলেই ঢাকাগামী যাত্রী ছিলেন।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই), শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ ও বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এই সোনার চালান আটক করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওসমানী বিমানবন্দর কাস্টমসের এক কর্মকর্তা বলেন, সোনার চালান পাচারের খবর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে গেছে এমন তথ্য পেয়ে চোরাচালানকারীরা সেগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে থাকতে পারেন। পাচারকারীরা সোনা গলিয়ে বল বানিয়েও নিয়ে এসেছিলেন। সেগুলো বিমানের টয়লেটে রাখা ছিল। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তিনি আরো বলেন, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে এক যাত্রী এক সপ্তাহ আগেও সিলেটে এসেছিলেন। এছাড়া ওই যাত্রীর মাসে কয়েকবার দুবাই যাতায়াতের তথ্য আছে।