শান্তিগঞ্জে জুনু মিয়া হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের দাবি
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ৮:৪৬:০৮ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের ঘোড়াডুম্বুর গ্রামে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত জুনু মিয়া হত্যার ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও আসামিদের গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এমনকি সংঘর্ষে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র বন্দুক এখনো উদ্ধার না হওয়ায় এখন আতংকে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা।
রোববার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা কাজী আব্দুল ওয়াদুদ। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও তাদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল ওয়াদুদ জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর তাদের বৈধ দখলে থাকা জমি জোরপূর্বক দখল নেওয়ার চেষ্টা করে আলী হোসেন, আদনান হোসেন গং। এ সময় তাদের আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশিরা বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আলী হোসেনের নেতৃত্বে তার পক্ষের লোকজন অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র শর্টগান-বন্দুক নিয়ে নিরীহ লোকজনের উপর নির্বিচারে গুলি ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে প্রায় অর্ধশত লোক আহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত জুনু মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গত ২০ ডিসেম্বর বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। হামলায় আরো ১০/১২ জন গুলিবিদ্ধ এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে প্রায় ১২ দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চোখে গুলিবিদ্ধ একজন এখনো ঢাকা চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার পর মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পাঁচ দিন পর জুনু মিয়া মারা যান। তার মৃত্যুর আজ ১১ দিন অতিবাহিত হলেও আসামিরা অধরা। এমনকি হামলার সময় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র (বন্দুক) ১৬ দিনেও উদ্ধার করা হয়নি। রহস্যজনক কারণে সন্ত্রাসীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। ফলে আমরা এখনো অজানা আতঙ্কে দিনযাপন করছি।
অবিলম্বে হত্যাকরীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন। বিজ্ঞপ্তি