অগ্নিঝরা মার্চ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:২৯:৪০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : আজ ১৫ মার্চ। ১৯৭১-এর ১৫ মার্চ ছিল সোমবার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে লাগাতার অসহযোগ আন্দোলনের চতুর্দশ দিবসের এদিন ছিল দ্বিতীয় পর্যায়ের অষ্টম দিবস। আজকের দিনটিও শান্তিপূর্ণ সভা-শোভাযাত্রা ও সরকারি, আধা-সরকারি অফিস-আদালত বর্জনের মাধ্যমে অতিবাহিত হয়।
এছাড়া আন্দোলনে নিহত বীর শহীদদের উদ্দেশে শোক এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসাধারণের আশা-আকাঙ্খাকে তোয়াক্কা না করে একতরফাভাবে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে কালো পতাকা উত্তোলিত থাকে।
১৩ মার্চ জারিকৃত ১১৫ নং সামরিক আইন আদেশে সরকারি কর্মচারিদের এদিন কাজে যোগদানের নির্দেশ প্রদান করা হলেও কোন বিভাগের কোন কর্মচারী কাজে যোগ দেননি। বরং তারা সামরিক আদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং নাখালপাড়ায় এক প্রতিবাদ সভা করে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত অসহযোগ কর্মসূচীর প্রতি পুনর্বার একাত্মতা ঘোষণা করেন।
জেনারেল ইয়াহিয়া খানের এমএলআর অর্থাৎ মার্শাল ল’ রেগুলেশনস অমান্য করে সামরিক বিভাগের অধীনে অর্ডিন্যান্স ডিপোর প্রায় ১১ হাজার কর্মচারীর কেউই কাজে যোগদান করেনি। সরকারী কর্মচারীগণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের এএলআর অর্থাৎ আওয়ামী লীগ রেগুলেশনস অনুযায়ী তাদের কর্মসূচী পালন করে। বস্তুত বাংলাদেশ তখন এমএলআর-এর বিপরীতে এএলআর দ্বারা পরিচালিত হতে থাকে।
অপরদিকে বিকেলে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের জনসভায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশে কেবল বাংলার সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই কোন নির্দেশ জারি করতে পারেন এবং বাংলার জনসাধারণ কেবলমাত্র সেই বিধিই মেনে চলবে। কেননা বঙ্গবন্ধু সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালীর নির্বাচিত নেতা।’