নগরে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের সশস্ত্র মহড়া
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ মার্চ ২০২৪, ৭:২৯:২১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাহে রমজানে মধ্যরাতে সিলেটে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট নগরের জিন্দাবাজার পয়েন্টে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হক রেজা গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষই ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় অংশ নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রাতে নগরের বন্দরবাজারের দিক থেকে প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেলে করে জিন্দাবাজার মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। এ সময় জল্লারপারের দিক থেকে জিন্দাবাজারের দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন যুবলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। জিন্দাবাজার মোড়ের পাশে পৌঁছালে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দু’পক্ষের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু করেন। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা যুবলীগের একজনের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মোটরসাইকেলের আগুন নেভায়। তবে এর আগেই মোটরসাইকেলটি আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। এ নিয়ে রাতভর দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জিন্দাবাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ বলেন, বিষয়টি দলীয় কিংবা গ্রæপিং এমন কিছু নয়। দুই বন্ধুর বিরোধের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি শুনেছেন। অন্যদিকে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল ইসলামের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঈন উদ্দিন সিপন বলেন, রজনৈতিক গ্রæপিং নিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। ঘটনাস্থল থেকে পুড়ে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল এবং আরো দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলোর প্রকৃত মালিক কে, তা জানার পর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে শত শত গাড়িতে করে চিনির চালান আসছে নগরের কালিঘাট পাইকারি বাজারে। প্রতিটি চিনির গাড়ি থেকে টাকা আদায়ের বিষয়টি আলোচিত। এসব চোরাচালানের সঙ্গে সিলেট ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নাম ওঠে আসছে। আর চিনির গাড়ির লাইনের নিয়ন্ত্রণ নিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ রাতের সিলেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এরই জেরে এ দুই সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।