ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৩৪ কিলোমিটার যানজট : অবর্ণনীয় দুর্ভোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০:০১:১৩ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ টোল প্লাজা থেকে ৩৪ কিলোমিটার মহাসড়ক দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে। রমজানের এই সময়ে দীর্ঘ যানজটে যাত্রী, চালকসহ সাধারণ মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েন। সিলেটে থেকে ঢাকামুুখী ও ঢাকা থেকে সিলেটমুখী অনেকে ফোন দিয়ে দুর্ভোগের বিষয়টি জানান।
যাত্রীরা জানান, বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে সরাইল উপজেলার বেড়তলা ও বিশ্বরোড মোড় এলাকা থেকে এ যানজটের শুরু হয়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পুরো ৩৪ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে যানজট ছড়িয়ে পড়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক এবং সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কেও।
উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতকে ট্রানজিট-সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ গোল চত্বর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। মহাসড়কের সম্প্রসারণকাজের জন্য আশুগঞ্জ থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার অংশে ৫ বছর ধরে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করে আসছে। মাঝেমধ্যে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেলে যানজটের সৃষ্টি হতো। কিন্তু বুধবার রাত তিনটার দিকে হঠাৎ করে এ মহাসড়কের সরাইল উপজেলার বেড়তলা ও বিশ্বরোড মোড় এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তা মহাসড়কের দীর্ঘ অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
দূরপাল্লার যানবাহনের অনেক যাত্রীকে রোজা রাখার জন্য সাহ্রি খেতে হয়েছে ফুটপাতের দোকানে বসে। কেউবা না খেয়েই রোজা রেখেছেন। দীর্ঘ যানজটে আটকে দিশাহারা হয়ে পড়েন বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরাও।
পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যানের চালক হাশেম আলী বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ইসলামাবাদ এলাকায় বলেন, সকাল সাতটায় শাহবাজপুর এলাকায় আইছি। বেলা ২টায়ও আর এগুতে পারিনি।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা এসআই সালাউদ্দিন মোল্যা বলেন, মহাসড়কের সম্প্রসারণকাজ চলমান রয়েছে। বুধবার রাতে বৃষ্টি হয়েছে। এতে বিভিন্ন স্থানে সামান্য পানি জমেছে। ওই সব কাদাজলে যানবাহন আটকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
দীর্ঘ যানজট নিরসনে কাজ করছিল সরাইলের খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশ, সরাইল ও বিজয়নগর থানার পুলিশ। সরাইল থানার এক উপপরিদর্শক বেলা আড়াইটার দিকে বলেন, সকাল থেকে মাঠে রয়েছি। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে আমরা চেষ্টা করছি।