সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ৮:৪৪:২১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে সরকারের ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৫৮ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সাবেক ভিসি ডা: মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো: নঈমুল হক চৌধুরীকেও আসামি করা হয়েছে।
দুদকের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো: ইসমাইল হোসেন বাদি হয়ে সিলেটের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন। সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পারস্পরিক যোগসাজশে ব্যক্তিগতভাবে ও অন্যদেরকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদ্যমান বিধিবিধান ও আইনকানুন যথাযথভাবে অনুসরণ না করে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়ায় ৫৮ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এতে সরকারের ৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়; যা দÐবিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মামলা হওয়ার পর আসামিদের গ্রেফতারসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, সিলেটের ওসমানী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ দিন থেকে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট অবৈধ নিয়োগ ও অনিয়মের অভিযোগ চলে আসছিল। মোহাম্মদ ইব্রাহিম বিভাগীয় পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর কমিশনের অনুমোদনক্রমে তাদের বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যবস্থা নেন।
এজাহারনামীয় ৫৮ আসামি হলেন- সাবেক ভিসি ডা: মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো: নঈমুল হক চৌধুরী, উপপরিচালক (পরিবহন ও উন্নয়ন) ফাহিমা খানম চৌধুরী, সহকারী রেজিস্ট্রার অঞ্জন দেবনাথ, সহকারী কলেজ পরিদর্শক মাইদুল ইসলাম চৌধুরী, সহকারী পরিচালক (পরিবহন ও উন্নয়ন) মো: গোলাম সরোয়ার, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো: বিলাল আহমদ চৌধুরী, সহকারী পরিচালক (বাজেট) শমসের রাসেল, পাবলিক রিলেশন অফিসার গাজী মো: ফারাজ, প্রকিউরমেন্ট অফিসার আব্দুল মুনিম, সেকশন অফিসার রিংকু দাস, আতিক শাহরিয়ার ধ্রæব, খালেদা চৌধুরী, আশরাফুল ইসলাম, জান্নাতুল ফেরদৌসী, চৌধুরী রোম্মান আহমদ, সাজু ইবনে হান্নান খান, বেলাল উদ্দিন ও লোকমান আহমেদ, সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা চৌধুরী জুলফিকার খালেদ, উপসহকারী প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হালিমা বেগম, সুরঞ্জিত চন্দ্র তালুকদার, মো: তৌফিক মিয়া, মো: রহমত আলী, এনি সরকার, দেবশ্রী রানী দাস, বিপুল কান্তি দাস, আব্দুল আজিজ, মো: মুহিতুর রহমান, আলী ফজল মো: কাওছার, নাহিমা আক্তার, মো: আব্দুল মজিদ, হুমায়ুন কবির জুয়েল, নাজমুস শামস তুষার, তানভীর আহমদ, ইয়ামিন হোসেন, রাধা রানী রায় শর্মী, তারেক মো: রেদোয়ান, অনিন্দিতা বিশ্বাস, রাজীব বৈদ্য, সাবেক সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো: আব্দুস সবুর, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মবরুর মিয়া, তামান্না ফিরোজী, দিব্য জ্যেতি সী, মিস আলেয়া নেছা জনি, মুমিনুর রহমান, রবিউল আলম বকুল ও মো: কয়েছ আহমদ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর লুৎফা বেগম, রুহুল আমিন, জাহিদ হোসেন, রোমানা সুলতানা, আনিছুর রহমান, রাফি ইব্রাহিম, মো: আব্দুস সাত্তার ও মোছা: সুলাতানা বেগম এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: রাশেদুল ইসলাম। আসামিদের বিষয়ে আদালত নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।