দিরাইয়ে প্রতিবেশিদের নির্যাতনের শিকার অসহায় পরিবার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ৭:৫২:৫৮ অপরাহ্ন
দিরাই প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাই’র পল্লীতে প্রতিবেশীদের নির্যাতনের শিকার হয়ে পরিবার নিয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে একটি পরিবারের। একাধিকবার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারস্থ হলে প্রতিশোধপরায়ন হয়ে ওঠে প্রতিপক্ষের লোকেরা। গত শনিবার দিবাগত রাতে বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগে সোমবার দিরাই থানায় আবারও লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন নির্যাতনের শিকার পরিবারের কর্তা গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাছের ছেলে অলি মামুদ। ঘটনাটি দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের হাজারিপুর গ্রামের। বসত ঘরে আগুন দেয়ার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী।
লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, অলি মাহমুদের নিকটাত্মীয় উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের ৭ টি পরিবার প্রায় ৪০ বছর আগে হাজারিপুর গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। তাড়ল ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রাম থেকে অলি মাহমুদ প্রায় ১৫ বছর আগে হাজারিপুর গ্রামের পূর্বপ্রান্তে খরিদাসূত্রে মালিকানা জায়গায় বসতঘর নির্মাণ করেন। এরপর থেকে প্রতিবেশীরা তাদের সাথে কারণে অকারণে মারামারি, নির্যাতনসহ গ্রাম থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করে আসছে। এর জের ধরেই গত মার্চ মাসের ৭ তারিখে গ্রামের প্রতিবেশীরা একত্রিত হয়ে অলি মাহমুদের বসতঘরে ও বাড়িতে থাকা মুরগির খামারে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে।
এ ঘটনায় গ্রামের ২২ জনের নামে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন অলি মাহমুদ। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, আগের মামলায় আসামীরা জামিন নেয়ার পর থেকে অলি মাহমুদের পরিবার গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দিতে থাকে। গত শনিবার রাতের খাবার শেষে পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় পাকা বসতঘরের লাগোয়া টিনসেড ছাপ্টাঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় প্রতিপক্ষের লোকেরা। এতে পাকা বসত ঘরের টিনের চালে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাৎক্ষণিক অলি মাহমুদ বিষয়টি দিরাই থানা পুলিশকে অবহিত করলে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরদিন দুপুরে দিরাই থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ও ওসি তদন্ত রতন চন্দ্র দেবনাথ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে অলি মাহমুদ বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ ৫ জনের নামে সোমবার দিরাই লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বসতঘরে আগুন লাগার খবর পেয়ে রাতেই টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরদিন আমিসহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।