জগন্নাথপুরে গন্ধর্বপুর মৌজার জরিপী কাজ স্থগিত থাকায় বিড়ম্বনা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ৯:২৩:০৭ অপরাহ্ন
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের গন্ধর্বপুর মৌজার জরিপী কাজ স্থগিত থাকায় মিলছে না নতুন পর্চা। ফলে অনলাইন খাজনা পরিশোধ, নামজারি করা, জায়গা জমি বেচাকেনা ও পারিবারিক বন্টনসহ নানা জটিলতার সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। এতে প্রবাসীসহ স্থানীয় জমির মালিকগণ বিপাকে পড়েছেন। একই সঙ্গে সরকারও কাঙ্খিত রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই জনস্বার্থে গন্ধর্বপুর মৌজাটি উন্মুক্ত করে নতুন পর্চা প্রদানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান ভূক্তভোগী মানুষজন।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে সেটেলমেন্ট জরিপী কাজ শুরু করে। এর মধ্যে প্রায় ২০ বছর পর এক সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা গন্ধর্বপুর মৌজার জরিপ কাজে ভূল আছে বলে তাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তীতে ৩ সদস্য কমিটি গঠন হয়। এ কমিটির প্রতিবেদনে পূর্বের জরিপ কাজ সঠিক ছিল বলে মন্তব্য করা হয়। এমতাবস্থায় চলতি ২০২৪ সালের ২৮ এপ্রিল এ মৌজার নতুন পর্চা প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়। এমন খবরে স্থানীয় বাগময়না গ্রামের আমির উদ্দিন ছোট গং উচ্চ আদালতে রিট করায় আগামী ৬ মাসের জন্য এ মৌজার জরিপী কাজ স্থগিত হয়ে যায়। এতে জায়গা জমির মালিকানা সহ নানা জটিলতায় পড়েছেন মানুষজন।
এ বিষয়ে ২৯ এপ্রিল সোমবার বাগময়না গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাহিদুল হক বলেন, প্রথমে ফরিদ উদ্দিন নামের এক সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা কারো প্ররোচনায় জরিপকাজে ভূল ছিল বলে প্রতিবেদন দিয়ে শোকজ হয়েছিলেন। এখন আবার আমির উদ্দিন ছোট গং হাইকোর্টে রিট করে ৬ মাস মৌজার কাজ স্থগিত করে দেয়ায় আমরা প্রবাসী সহ স্থানীয় মানুষজন নানা বিড়ম্বনায় পড়েছি। সাবেক ইউপি সদস্য মুক্তার মিয়া বলেন, গন্ধর্বপুর মৌজাটি স্থগিত থাকায় মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন এবং সরকারও রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই জনস্বার্থে মৌজাটি উন্মুক্ত করা প্রয়োজন। এদিকে-আমির উদ্দিন ছোট ফোন রিসিভ না করায়, কি কারণে তারা রিট করেছেন তা জানা সম্ভব হয়নি।