মে দিবসে রেস্তোরাঁ খোলা রাখায় ভাঙচুর
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ মে ২০২৪, ৬:৪৩:৩৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : মহান মে দিবসে রেস্তোরাঁ খোলা রাখায় দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকায় দুটি হোটেলে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এতে রেস্তোরাঁর মালিকসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার সকাল ১০টা ও বেলা ২টার দিকে এ দুটি ঘটনা ঘটে।
রেস্তোরাঁর মালিকদের অভিযোগ, শ্রমিক নামধারী দুর্বৃত্তরা এমন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। সে সঙ্গে লুটপাট চালানো হয়েছে।
পুলিশ বলছে, খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রেস্তোরাঁর মালিক অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেস্তোরাঁর মালিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকায় নিউ পাঞ্জাখানা রেস্টুরেন্ট, শাহজালাল রেস্টুরেন্ট নামের দুটি রেস্তোরাঁ খোলা ছিল। এ সময় ১০-১৫ জন যুবক হঠাৎ হামলা চালায়। এতে রেস্তোরাঁর কাচের দরজা, জানালা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রেস্তোরাঁ লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। এ সময় রেস্তোরাঁর মালিকসহ ১০ জন আহত হন।
নিউ পাঞ্জাখানা রেস্টুরেন্টের পরিচালক আব্দুল মালিক বলেন, মে দিবসে রেস্টুরেন্ট কেন খোলা রেখেছেন, এমন কথা বলে বুধবার দুপুরে হঠাৎ হামলা চালিয়েছেন ১০-১৫ জন যুবক। এ সময় তিনিসহ রেস্টুরেন্টে থাকা ৫ জন কর্মচারী আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীরা রেস্তোরাঁর ক্যাশ থেকে টাকাও লুট করে নিয়ে গেছে।
শাহজালাল রেস্টুরেন্টের পরিচালক রুহেল মিয়া বলেন, বুধবার সকালে তার রেস্তোরাঁর শ্রমিকদের তিনি শ্রমিক দিবসের আয়োজনে অংশ নিতে বলেছিলেন। পরে কয়েকজন স্বজনদের নিয়ে তিনি রেস্তোরাঁ খোলেন। সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ একদল যুবক তার রেস্তোরাঁয় হামলা চালায়। এতে আড়াই লাখ থেকে তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান বলেন, খবর পেয়ে রেস্তোরাঁগুলো পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় কেউই অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পাওয়ার পর পরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মে দিবসে হোটেল খোলা রাখার জন্য দক্ষিণ সুরমা হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছি। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।