সিলেটে এক পশলা বৃষ্টি তবু গরমের অস্বস্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ মে ২০২৪, ৯:১৭:৩৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের আট বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবারও বয়ে যায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। যদিও সিলেটে ভরদুপুরে এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। তবুও গরমের উত্তাপ কমেনি একটুও।আবহাওয়া অফিস জানায়, সিলেটে শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবুও তাপমাত্রা ছিলো ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গতকালও সিলেটে ছিলো অস্বস্তিকর গরম।আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এলাকাভেদে ১ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। তবে এ তাপমাত্রা মে মাসে একেবারে অস্বাভাবিক নয় বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। আর এই গরমের মধ্যে আশার খবর, আজ থেকে দেশে বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে। অন্য অঞ্চলের চেয়ে সিলেটে একটু বেশি বৃষ্টি হতে পারে।
পরশু রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেটে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রী। মে মাসে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হলো ৩২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ গতকাল প্রায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি ছিল।পরশু রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মাসে রংপুরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ প্রায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি ছিল এ শহরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, গতকাল দেশের কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। তবে এ তাপমাত্রা বৃদ্ধি অস্বাভাবিক কিছু নয়। মে মাসে কিছু সময় এটা হয়। দুই দিন পর থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে।
মে মাসে এযাবৎকালের দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে, ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এপ্রিল মাসের টানা তাপপ্রবাহের পর এ মাসের প্রায় শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়। চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে বৃষ্টি বাড়তে থাকে। তবে গত সোমবার (১৩ মে) থেকে তাপপ্রবাহ বাড়তে শুরু করে। গত বুধবার সন্ধ্যায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দেয় আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, এখন পর্যন্ত যে বৃষ্টি হয়েছে, তা স্বাভাবিক। আজ শনিবার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে। সিলেটেও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তখন তাপমাত্রা আবার কমে আসবে।