সুনামগঞ্জে গ্রামে গ্রামে লোডশেডিং
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জুন ২০২৪, ৮:২০:৩৮ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে অসহনীয় গরমে বেড়েছে লোডশেডিং। গ্রামে গ্রামে লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এদিকে, বিদ্যুৎ না দিয়ে বিলের জন্য মাইকিং করে তাগাদা দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন। ভুতুড়ে বিলেরও চাপ রয়েছে গ্রাহকের উপর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়নগর বাজারের আশপাশ গ্রাম ধনপুর, সরদারপুর, আমড়িয়া, জয়নগরসহ ৮/১০ টি গ্রামের মানুষ ঈদের দিন থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছেননা। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে কাহিল হয়ে পড়েছে জনজীবন। ফ্রীজে রাখা কুরবানির গোশত পঁচে গেছে। জয়নগরের ব্যবসায়ীরা রাত ৭ টা হলেই দোকান বন্ধ করে বাড়ি যেতে হচ্ছে। অটো ও সো’মিলে কাজ করতে পারছেননা মালিকগণ। শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছেন। ফ্রীজে রাখা ব্যবসায়ীদের মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে কেউ ফ্রীজ ব্যবহার করছেন না। অতিরিক্ত গরমে ঘুমাতে পারছেননা এলাকার লোকজন। পড়াশুনায় ব্যাঘাত ঘটছে মারাত্মকভাবে।
ধনপুর গ্রামের ব্যবসায়ী জুলহাস উদ্দীন জানান, বিদ্যুৎ এর যন্ত্রনায় বড় কষ্টে আছি। ৫ মিনিট দিলে ৩ ঘন্টা পরে আবার কারেন্ট দেয়। গতরাতে ১০ মিনিট কারেন্ট দেয়ার পর আর দেয় নাই। সরদারপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আমিরুল হক জানান, আমার একটা স’ মিল আছে। ঈদের আগ থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় শ্রমিকরা কাজ করতে পারছেনা। ফলে তারা বেকার হয়ে পড়ছেন। আমরিয়া গ্রামের কবির আহমেদ জানান, এলাকায় দিনে রাতে বিদ্যুৎ থাকেনা। বার বার জিএমকে বলার পরও সমাধান পাচ্ছিনা। এবার আমরা আন্দোলনে যাওয়ার চিন্তা করছি। জয়নগরের ব্যবসায়ী হুমায়ুন রশিদ জানান, বিদ্যুৎ নিয়ে তামাশা চলছে। এই আসে এই যায়। দিনে রাতে মিলিয়ে ১ ঘন্টাও কারেন্ট থাকেনা। ভ্যাপসা গরমে অবস্তা কাহিল।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সুনামগঞ্জ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু নুয়মান বলেন, জাতীয়ভাবে এ দুর্যোগ তৈরী হয়েছে। চাহিদা ১১ মেগাওয়াট, পাচ্ছি সাত মেগাওয়াট। এ অবস্থায় আমাদের লোডশেডিং করা ছাড়া উপায় নেই।
সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জিএম মিলন কুমার কুন্ডু বলেন, পল্লী বিদ্যুতের সকল গ্রাহককে মঙ্গলবার থেকে ৫০ ভাগ লোডশেডিং করা হচ্ছে। আগে যারা ২০/২২ ঘন্টা বিদ্যুৎ পেতেন তারা এখন ১০/১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। আমাদের ৫০ মেগাওয়াট এর চাহিদা আছে, আমরা পাচ্ছি ২৫ মেগাওয়াট। এ অবস্থায় গ্রাহকেরা কম বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছেন।