আজ থেকে ভারী বর্ষণের শঙ্কা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জুন ২০২৪, ১১:০০:০৬ অপরাহ্ন
কুশিয়ারার ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট ছাড়া সব নদী বিপদসীমার নিচে
জালালাবাদ রিপোর্ট : কুশিয়ারার ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট ছাড়া সিলেটে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপদসীমার নিচে অবস্থান করছে। তবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত থাকায় পানি ধীরগতিতে নামছে। এ অবস্থায় আজ থেকে ফের ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসের সতর্কতা জারী করেছে আবহাওয়া অফিস।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি ১২ দশমিক ৪৪ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। সিলেট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানির বিপদসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। সেখানে সন্ধ্যা ৬টায় পানি প্রবাহিত হয় ১০ দশমিক শূন্য ৭ সেন্টিমিটারে।অমলশিদ ও শেরপুর পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেটের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, সিলেটে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত থাকায় পানি ধীরগতিতে নামছে। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি কম হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে যাবে।এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, সিলেটে আগামী কয়েক দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এতে সিলেটের বাসিন্দাদের মধ্যে নতুন করে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দুই দফা বন্যার পানি সরে যাওয়ার আগেই আবারও বন্যা হলে ক্ষয়ক্ষতিও জ্যামিতিক হারে বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল বৃহস্পতিবার সতর্কবার্তা দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, আগামী তিনদিন দেশের সাত বিভাগে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে দেশের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কাও করা হচ্ছে।আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় সিলেটসহ সাত বিভাগে কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণজনিত কারণে পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কাও রয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, সিলেটে আগামী কয়েক দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।বন্যা ও জলবায়ু গবেষকেরা বলছেন, এ মাসে দুই দফা বন্যার পানি সম্পূর্ণ নেমে যাওয়ার আগেই জুন শেষে আবারও পাহাড়ি ঢলের শঙ্কা রয়েছে।
জুনে সিলেটে স্বাভাবিক বৃষ্টি হয় ৮৪১ মিলিমিটার। সেখানে এ বছর ১৮ দিনে বৃষ্টি ঝরেছে ১৬শ মিলিমিটারেরও বেশি। সেই সঙ্গে পূর্বে আসাম, মিজোরাম, মণিপুর রাজ্যের ভারী বৃষ্টির পানি বরাক নদী দিয়ে সুরমা ও কুশিয়ারায় উপচে পড়ছে। ২০২২ এর জুনে সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছিল ১ হাজার ৪৫৬ মিলিমিটার। সম্প্রতি অস্বাভাবিক বৃষ্টি এই এলাকায় বন্যার প্রকোপ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
সংশ্লিষ্টদের শঙ্কা, বন্যার পানি কমে যাওয়ায় বাড়ি ঘরে ফিরলেও ভারী বর্ষণ হলে আবারও আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে আসতে হবে মানুষের এতে দুর্বোগ-ভোগান্তির মাত্রা সহৌর সীমা ছাড়িয়ে যাবে।।