জুড়ী ফুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জুন ২০২৪, ৬:১৮:২৬ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি : জুড়ী উপজেলার ফুলতলা বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার খাতার কোডিং স্লিপ পরিবর্তন করে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি প্রধান শিক্ষক প্রার্থী মো. আব্দুল জলিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রত্যেক প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতা পুনঃমূল্যায়ন ও নিরীক্ষনের দাবিতে বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, জুড়ীর ফুলতলা বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে ২৬ জুন নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছয়জন প্রার্থী অংশ নেন। লিখিত অভিযোগে প্রধান শিক্ষক প্রার্থী মো. আব্দুল জলিল জানান, ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় এক ঘন্টার মধ্যে তিনি ৭০ নম্বরের উত্তর লিখে ফেলেন। উপস্থিত পর্যবেক্ষকগণ কম সময়ে সঠিক উত্তর লেখা দেখে বিস্মিত হন। অথচ পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্রে যথানিয়মে নম্বর না দিয়ে নিয়োগ কমিটি তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে আড়াই ঘন্টা সময়ক্ষেপণ করেন। বিকালে তাদের পছন্দের প্রার্থী নজরুল ইসলামকে প্রথম নির্বাচিত হওয়ার ঘোষণা দেন। ভুক্তভোগি প্রধান শিক্ষক প্রার্থী মো. আব্দুল জলিল অভিযোগ করেন, নিয়োগ কমিটি লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রে যথানিয়মে নম্বর প্রদান করেনি। অথবা কথিত প্রথমস্থান অর্জনকারি প্রার্থী নজরুল ইসলামের সাথে আমার কোডিং স্লিপ ও উত্তরপত্র পরিবর্তন করে তাকে নির্বাচিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম জানান, সরকারি কাজে তিনি মৌলভীবাজারের বাইরে রয়েছেন। রোববার অফিসে গিয়ে অভিযোগ দেখে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুর রহমান শুক্রবার বিকেলে জানান, বৃহস্পতিবার তিনি অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ভুক্তভোগি হয়তো অভিযোগটি অফিসে জমা দিয়েছেন। রোববার অফিসে গিয়ে তা দেখার পর ব্যবস্থা নিবেন।
নিয়োগ কমিটির ডিজি প্রতিনিধি মৌলভীবাজার আলী আমজদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ময়নুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।