যথারীতি অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জুন ২০২৪, ৯:৪৬:০৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : নিত্যপণ্যের বাজারে যথারীতি অস্থিরতা চলছেই। একটার দাম কিছুটা কমছে তো বাড়ছে অন্যটার।এরই মধ্যে বাজারে পেঁয়াজের দাম ঠেকেছে একশ টাকার ঘরে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে। এছাড়া আলুর দাম উঠেছে ৬৫ টাকা প্রতিকেজি, যা গত সপ্তাহের চেয়ে ৫ টাকা বেশি। কমেনি কাঁচা মরিচের ঝালও, বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে। আরও বেশকিছু নিত্যপণ্যের দাম এখনো চড়া।
এমন পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে নাজেহাল হয়ে পড়ছেন নিম্ন বিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা। শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র
।
এসব বাজারে গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ ব্যবধানে ৫-১০ টাকা বেড়েছে।বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ কম। মাত্র অল্প কয়েকটি দোকানে আমদানি করা পেঁয়াজ দেখা গেছে। আমদানি করা পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে একই দামে।
পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলেন, পেঁয়াজের মৌসুম (বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ) যত শেষের দিকে যাচ্ছে, দাম তত বাড়ছে। আগামীতে এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা বলা যাচ্ছে না।অন্যদিকে বাজারে বেড়েছে আলুর দামও। গত সপ্তাহে খুচরায় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গ্রামীণ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। তবে দরদাম করলে কোনো কোনো দোকানে ৬০ টাকায় মিলছে।
বিক্রেতারা বলেন, পাইকারি বাজারে আলুর দাম প্রায়ই ২/১ টাকা বাড়ছে। আসলে আলুর সংকট দেখা দেওয়ায় দাম বেড়েছে। মুন্সিগঞ্জ, রাজশাহী, রংপুরে আলুর খুব সংকট চলছে, পাওয়া যাচ্ছে না। এ বছর উৎপাদন কম হওয়ায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে।
এদিকে, ঈদুল আজহার আগে আগেই এবার বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। ওই দাম এখনো সেভাবে কমেনি। কোরবানির সময়ে কাঁচা মরিচের কেজি ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। কিছুটা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।
যদিও বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ দিন দিন বাড়ছে। কয়েক দিনের মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম আরও কমে আসবে। ঈদের সময় বৃষ্টি এবং ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছিল।
বাজারের বেশিরভাগ সবজি চড়া দামে আটকে রয়েছে। প্রতিকেজি ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কিছু। ওই দামের মধ্যে আছে পটল, ঢ্যাঁড়স, কাঁচা পেঁপে। তবে কচুর লতি, বরবটি, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে আরও ২০ টাকা বেশি দরে, অর্থাৎ ৮০ টাকার আশপাশে প্রতি কেজি।