সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যানজট
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুলাই ২০২৪, ৯:১৭:১৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে বৃহস্পতিবার সিলেটে ছিল প্রচন্ড যানজট। সকাল থেকে রোদ ওঠায় এবং বৃষ্টি না থাকায় অনেকেই এ দিন শহরের বাইরে থেকে অনেক লোকজন এসেছিলেন। তাছাড় যারা এ ক’দিন বৃষ্টির জন্য বের হননি তারাও জমিয়ে রাখা নানান কাজে রাস্তায় বের হন। এরবাইরে সপ্তাহের শেষ দিনে স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা যানজট থাকে। সবমিলিয়ে এই বৃহস্পতিবার অন্যান্য সপ্তাহের চেয়ে অনেক বেশি যানজট ছিল। সকালের তুলনায় দুপুরের পর থেকে যানজট বাড়তে থাকে। বিকেলে ৪টার পর কিছুক্ষণ জোরে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টি থামার পর আটকে পড়া লোকজন একসাথে রাস্তায় নামলে তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট।
সরেজমিন বিকেলে দেখা যায় নগরীর বন্দরবাজার টু সোবহানীঘাট, সোবহানীঘাট টু মেন্দিবাগ পয়েন্ট, বন্দরবাজার টু জিন্দাবাজার, জিন্দাবাজার টু চৌহাট্টা-আম্বরখানা, বন্দরবাজার টু টিলাগড়, বন্দরবাজার টু লামাবাজার- মেডিকেল-সুবিদবাজার-মদিনা মার্কেটে জায়গায় জায়গায় রিকশা-সিএনজিসহ আটকে থাকা গাড়ির দীর্ঘ সারি। তালতলা, মির্জাজাঙ্গাল, জামতলা, সোবহানীঘাট, শিবগঞ্জসহ যেসব এলাকায় রাস্তা জলাবদ্ধতার জন্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল সেসব রাস্তায় যানজট ছিল অনেক বেশি। এসব রাস্তায় ভাঙা ও গর্তের জন্য কোনো কোনো স্থানে রিকশা-গাড়ি একদিকে যেতে হচ্ছে, কোথাও কোথাও খুব ধীরে চলতে হচ্ছে। এতে দীর্ঘ হয় যানজট।
দীর্ঘ যানজটে জরুরি প্রয়োজনে যারা সিলেট এসেছেন তাদের সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়। কোম্পানীগঞ্জের উৎমা মায়ারবাজার এলাকার নিজাম উদ্দিন জানান বন্যায় তাদের এলাকার জলমগ্ন। গত দুদিন ধরে বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে। এতে রাস্তাঘাটের অবস্থা একটু ভালো হওয়ায় রোদ দেখে দুপুরের পর স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে সিলেটে এসেছেন। ওসমানী মেডিকেল রোডের একটি হাসপাতালে বিকেলে ডাক্তার দেখানোর কথা। কিন্তু যানজটে আটকে সন্ধ্যার আগে পৌঁছতে পারবেন কিনা জানেন না। তিনি বলেন সিএনজি করে আম্বরখানা এসে নেমেছেন। আম্বরখানা থেকে ওসমানী মেডিকেল রোড অল্প জায়গা হলেও চৌহাট্টা পর্যন্ত আসতেই তিন জায়গায় যানজটে আটকে আধাঘণ্টা শেষ। নিজাম বলে হোটেল পলাশের সামনে থেকে রিকাশায় ওঠে প্রথমে আম্বরখান, তারপর দরগা গেইট, তারপর সিভিল সার্জন অফিস থেকে যানজটে ঠেলে ঠেলে রিকশা এসে চৌহাট্টা পর্যন্ত পৌঁছেছে। এখনও রিকাবিবাজার মেডিকেল রোডের যানজট বাকি।
চৌহাট্টা এলাকায় দায়িত্বরত একজন ট্রাফিক কর্মকর্তা জানান, সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হিসেবে বৃহস্পতিবার এমনিতেই যানজট বেশি থাকে। তাছাড়া অনেক বড়ো ডাক্তার বৃহস্পতি ও শুক্রবার ঢাকা থেকে সিলেট এসে রোগী দেখেন। এসব ডাক্তারের জন্য অনেক বাইরের লোকজন শহরে আসেন। ফলে নানান দিক বিবেচনায় বৃহস্পতিবার অনেক গাড়ি ও লোকজন সিলেটে প্রবেশ করে। এসব চাপে যানজট বেড়ে যায়।